অন্যরকম
এই ব্যক্তির ১২ স্ত্রী, ১০২ সন্তান, ৫৭৮ নাতি-নাতনি
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
উগান্ডার বুগিসা গ্রামের বাসিন্দা মুসা হাসাহিয়া কাসেরার। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত বুতালেজা জেলার বাসিন্দা কাসেরার স্ত্রী ১২ জন। তার সন্তানের সংখ্যা এত বেশি যে অনেকের নাম তিনি মনে করতে পারেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০২ সন্তানের জনক কাসেরার নাতি-নাতনির সংখ্যা কেউ শুনলেও চোখ কপালে উঠবে! তার নাতি-নাতনি ৫৭৮ জন। নিজ বসতভিটায় বসে ৬৮ বছর বয়সি কাসেরা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলছিলেন, ‘প্রথমে এটা ছিল হাস্যরসের বিষয়... কিন্তু এখন সেসব ঘিরে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। দিন দিন শরীরের জোর কমছে। বিশাল এই পরিবারের জন্য মাত্র দুই একর জমি। খাদ্য, বস্ত্র ও শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারিনি বলে দুই স্ত্রী ছেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রীরা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে, অবশ্য আমি করিনি। আমি আর সন্তান নিতে চাই না। কারণ, এত বেশি সন্তান জন্ম দেয়ার দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ থেকে আমার শিক্ষা হয়েছে। সন্তানদের আমি লালন-পালন করতে পারছি না।’ বর্তমানে কাসেরা বেকার। অবশ্য তার গ্রামটি এখন এক ধরনের পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, পারিবারিক আয়োজনে কাসেরা প্রথম বিয়ে করেন ১৯৭২ সালে। এ সময় তিনি ও তার স্ত্রী দুজনেরই বয়স ছিল ১৭ বছর। এক বছর পর তাদের প্রথম সন্তান হয়।
কাসেরা বলেন, ‘যেহেতু আমরা শুধু দুই সহোদর ছিলাম, তাই আমার ভাই, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, বংশের সম্প্রসারণে অনেক বেশি সন্তান জন্ম দিতে যেন বেশ কয়েকটি বিয়ে করি।’
গবাদিপশু বিক্রেতা ও কসাই হিসেবে সচ্ছল জীবন ছিল কাসেরার। আর অবস্থাসম্পন্ন দেখে গ্রামবাসী তার সঙ্গে তাদের মেয়েদের বিয়ে দিতে চাইতেন। এমনকি তাদের কারো কারো বয়স ছিল ১৮ বছরের কম। উগান্ডায় বাল্যবিয়ে নিষিদ্ধ হয় ১৯৯৫ সালে। তবে ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে বহুবিবাহের প্রচলন রয়েছে। কাসেরার সন্তানদের বয়স ১০ থেকে ৫০ বছর। আর তার সবচেয়ে ছোট স্ত্রীর বয়স ৩৫ বছর। তিনি বলেন, ‘প্রথম আর শেষ সন্তান ছাড়া বাকিদের নাম মনে রাখতে পারেন না। তাদের জন্মের বিস্তারিত জানতে একটি পুরোনো নোট বইয়ের পৃষ্ঠা ওলটাতে ওলটাতে কথাগুলো বলছিলেন কাসেরা।’ তিনি বলেন, ‘সন্তানদের চিনতে তাদের মায়েরা সাহায্য করেন। এমনকি কয়েকজন স্ত্রীর নামও মনে করতে পারেন না। এজন্য নিজের এক সন্তানের সাহায্য নেন তিনি।’ একজন স্থানীয় কর্মকর্তা যিনি প্রায় ৪ হাজার জন লোকের এই গ্রাম তত্ত্বাবধান করেন। তিনি জানান, যে চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, সে তার সন্তানদের খুব ভালোভাবে লালন-পালন করেছেন এবং তাদের কারণে চুরি বা মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি।