স্মার্ট রাজনীতিতে দেশের স্বার্থ সবচেয়ে আগে প্রাধান্য পাবে
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হচ্ছে। আমাদের যাতায়াত ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে মোবাইল। সত্যিই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রা শুরু করেছি। তবে স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রায় আমরা মনি করি, রাজনীতিকেও স্মার্ট হতে হবে। যেখানে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থটাকে সবচাইতে আগে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে হবে। মানুষ ও দেশ এটিই সবার আগে এবং সেখানে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, মানুষকে বিভ্রান্ত করা, মানুষকে পুড়িয়ে মারা এগুলো কখনো স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট রাজনীতির অংশ হতে পারে না। মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা এবং কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে, অন্যেরা অর্থ বিত্তের পাহাড় গড়ে তুলবে, স্মার্ট রাজনীতি এগুলো হতে দেবে না। গতকাল শুক্রবার সকালে দুই দিনের সফরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, আমাদের শুধু জ্ঞান ভিত্তিক নয়, জ্ঞান ভিত্তিকের সাথে দক্ষতা ভিত্তিক এবং তারা সফ্ট স্কিল শিখবে, তারা মূল্যবোধ শিখবে এবং এই শিক্ষার মধ্য দিয়ে তারা স্মার্ট নাগরিক হয়ে উঠবে। মন্ত্রী বলেন, ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছানোর কথা। বই না পাওয়ার কোন কারণ নেই। যদি কোথাও পৌঁছাতে দেরি হয়ে থাকে অবশ্যই আমি তা দেখব। তবে সবাইকে বলব আমাদের ওয়েব সাইটে প্রত্যেকটি বই দেয়া আছে, কোথাও যদি কোন ব্যত্যয় ঘটেও থাকে তাহলে যেন সে ওয়েব সাইট থেকে শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে শিক্ষকরা সহায়তা নিয়ে পাঠদান করতে পারবেন। স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ঠিক পিতার মত। যখন যে স্বপ্ন দেখান, তা বাস্তবায়ন করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ, মধ্যম আয়ের দেশ, উন্নয়নশীল দেশের কথা বলেছিলেন, হয়েছি আমরা। এখন তিনি আমাদেরকে দেখিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, সুখী ও শান্তিময় বাংলাদেশ হব এবং সে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে অর্থাৎ সবাই কেবল কম্পিউটার ব্যবহার করবে তা কিন্তু নয়। আমাদের সমস্ত সেবা ও কাজ, যত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আছে সেগুলো দিয়ে আমাদের জীবনটা এগিয়ে যাবে। সমস্ত প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিটি মানুষ দক্ষ হবে এবং সে প্রযুক্তি দিয়ে যত সেবা আছে, সেগুলো প্রতিটি মানুষের পৌঁছে যাবে এবং সে প্রযুক্তির কারণে যত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আছে সেগুলো এবং তার মান নিশ্চিত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ মানুষ মানে যেখানে প্রতিটি নাগরিক, সরকার, সমাজ, অর্থনীতি স্মার্ট হবে। আমাদের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থসহ প্রতিটি ক্ষেত্র স্মার্ট হবে। এর মধ্য দিয়ে তারা উন্নত জীবন যাপন করবে। এটিই মূলত স্মার্ট বাংলাদেশ। এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী এরপর নির্বাচনী এলাকা হাইমচর উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজারের বাচ্চু সরকারের বাড়ি, পুরাণ বাংলাবাজার ওসমান প্রধানিয়া বাড়ি ও সৈয়দ মেম্বারের বাড়িতে উঠান বৈঠক এবং নতুন সাহেবগঞ্জ বাজারের জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় করেন।