সুস্থ থাকার জন্য লিভারের সুস্থতা অত্যন্ত জরুরি। কোনো কারণে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে কিংবা এর কাজ বাধাপ্রাপ্ত হলে তা সমস্ত শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। এমনকী হতে পারে মৃত্যুর কারণও। আপনি যদি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন না করেন, স্বাস্থ্যকর খাবার না খান তবে তা লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। লিভারে অসুখ দেখা দিলে তা দ্রুত ওজন বৃদ্ধি, টানা ক্লান্তি, এলার্জি, হজমে সমস্যা ইত্যাদি অসুখ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক লিভার পরিষ্কার রাখতে কোন খাবারগুলো খাবেন-
লেবু: আমাদের লিভার পরিষ্কার করার কাজে সাহায্য করে লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেইসঙ্গে এতে থাকে ডি লিমনেন উপাদান। যা আমাদের লিভারে এনজাইম সক্রিয় করে। এদিকে লেবুর ভিটামিন সি-ও অধিক এনজাইম তৈরি করতে পারে, যা হজমের জন্য সহায়ক। এই ফলে থাকা মিনারেল লিভারের পুষ্টি শোষণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই নিয়মিত লেবু-পানি পান করার অভ্যাস করুন। এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
জলপাইয়ের তেল: জলপাইয়ের তেলের আছে অনেকগুলো উপকারিতা। তার মধ্যে অন্যতম হলো এটি লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তবে সেই জলপাইয়ের তেল অবশ্যই ভোজ্যতেল হতে হবে। এই তেল লিভারের বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। যার ফলে আমাদের শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর হয়।
আপেল: আপেলের উপকারিতার কথা জানা আছে নিশ্চয়ই? এটি নানাভাবে আমাদের সুস্থ রাখতে কাজ করে। এতে থাকা পেক্টিন ও ফাইবার শরীরের পরিপাক নালী থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে। সেইসঙ্গে রক্ত থেকে কোলেস্টেরল দূর করতেও কাজ করে। ফলে লিভার সুস্থ থাকে। প্রতিদিন অন্তত একটি আপেল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
রসুন: রসুন খেলে অনেক উপকার মেলে। বিশেষ করে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে পারলে বেশি লাভ। এটি লিভার পরিষ্কার রাখতে কার্যকরী। এর এনজাইম লিভারের ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ দূর করতে কাজ করে। রসুনে থাকা এলিসিন এবং সেলেনিয়াম লিভার পরিষ্কার রাখে এবং ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান দূরে রাখে।
গ্রিন টি: সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন এককাপ গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ এই চায়ে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। লিভার থেকে চর্বি দূর করতে কাজ করে গ্রিন টি। বিশেষজ্ঞরাও নিয়মিত এই চা খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে লিভারের বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় সহজেই। ফলে লিভার সুস্থ থাকে।
সবুজ শাকসবজি: সব ধরনের সবুজ শাকসবজিতে থাকে ক্লোরোফিল। এই উপাদান আমাদের রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে কাজ করে। নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খেলে তা শরীরে জমে থাকা প্র্যাসটিসাইড এবং রাসায়নিক পদার্থকে নিষ্ক্রিয় করে। ফলে লিভার সুস্থ থাকে।