অকার্যকর ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল দ্রুত পুনর্গঠন দাবি
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার হালহকিকত পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর। এদিকে, দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ক্যান্সার শনাক্তের হার। এই অবস্থায় দ্রুত পুনর্গঠন ও সচল করে ক্যান্সার বিষয়ক যেকোনো প্রকল্প ও পরিকল্পনা এই পরিষদের মাধ্যমে একনেকে পাঠানোর প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন। কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্ট এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। বক্তারা বলেন, ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পদাধিকার বলে কাউন্সিলের সভাপতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছেন ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান, বিএমএ’র শীর্ষ নেতারাসহ শীর্ষ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এ কাউন্সিলের দীর্ঘদিন ধরে কোনো সভা হয় না। অনুষ্ঠানে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার রোগতত্ত্ব বিভাগের সাবেক প্রধান, অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য) মজিবুল হক, বারডেম হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, ওজিএসবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম, গাইনি অনকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের সম্পাদক অধ্যাপক সাবেরা খাতুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানাসহ আরও অনেকে। অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, শরীরে ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুরুতে শনাক্ত করা গেলে ক্যান্সার থেকে সুস্থতা সম্ভব। এজন্য দেশে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পাশাপাশি জাতীয় ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি আলাদাভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে জাতীয় ক্যান্সার নিবন্ধন কর্মসূচির আওতায় হাসপাতাল ও জনগোষ্ঠীভিত্তিক নিবন্ধন চালু ও সম্প্রসারণ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, জাতীয় ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি চালু করতে হবে চলমান অসম্পূর্ণ, ত্রুটিপূর্ণ ও অসংগঠিত পদ্ধতির পরিবর্তে সমাজভিত্তিক সংগঠিত পদ্ধতিতে। হেপাটাইটিস ও এইচপিভি টিকাসহ ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে সরকারের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করে।