রাবারকে কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি চান বাগানমালিকরা

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ‘সাদা সোনা’ হিসেবে পরিচিত রাবার চাষিদের স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেয়া, এই শিল্প নিয়ে গবেষণার জন্য রিসার্চ ইনস্টিটিউট করাসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, রাবারকে কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, রাবার বাংলাদেশের সাদা সোনা নামে পরিচিত এবং দেশের বাজারে রাবারের দ্রব্যাদি যেমন- যানবাহনের টায়ার, টিউব, জুতা, হোসপাইপ, ফোম, খেলার সামগ্রীসহ শিল্প কারখানায় রাবারের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য রাবার উৎপাদনকারী দেশ এটিকে কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও আমাদের দেশে এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। যে কারণে রাবার খাতের উদ্যোক্তারা সরকার প্রদত্ত কৃষিবিষয়ক সব প্রণোদনা সহয়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন সংগঠনটির এই নেতা। পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি রাবার বাগানে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী বাহিনীর তাণ্ডবের কারণে রাবার শিল্প ধ্বংসের মুখোমুখি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এজন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের যোগসাজোশের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজন এ শিল্পের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। যা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের আশু পদক্ষেপ অপরিহার্য। বিশেষ করে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি ও সার্বিক সহয়তা প্রয়োজন। এ সময় তারা ১১ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো- আশির দশকে বরাদ্দকৃত প্লটগুলোর চুক্তির নবায়ন; রাবার চাষিদের স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দান; বিদেশ থেকে উচ্চ ফলনশীল বীজ আমদানি; রাবারকে কৃষিপণ্য ঘোষণা; দেশে উৎপাদিত রাবার পণ্যের ওপর ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রত্যাহার; স্থানীয় রাবার শিল্পের সুরক্ষায় আমদানি পর্যায়ের রাবারের শুল্ক কর বৃদ্ধি; হেডম্যান রিপোর্টের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করা; অবৈধ দখল বন্ধ করা; জমি হস্তান্তর ও নামজারি ব্যবস্থা করা এবং রাবার রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আরও বলেন, ৬০ এর দশকে আমদানিকরা বীজের চারা থেকে বর্তমানে আমাদের উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে এ ধরনের বীজে ফলন ক্ষমতা কম থাকায় আমাদের উদ্যোক্তারা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন। ফলে দেশের বাইরে থেকে উচ্চ ফলনশীল বীজ আমদানিতে কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ হারুন, মহাসচিব মনসুর আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফ উল্লাহ, সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাবেক সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের সদস্য মো. সেলিম উপস্থিত ছিলেন।