ডিজিটাল অর্থনীতিতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও ঘানা। গতকাল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের ফ্রন্ট এক্সপো অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ঘানার কমিউনিকেশন মন্ত্রী উরসুলা ওউসু-ইকুফুল বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
এ সময় তারা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবন এবং স্টার্টআপ বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবন, নলেজ-শেয়ারিং ও গবেষণা করার ওপর বিশেষভাবে জোর দেন।
এছাড়া প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নাইজেরিয়ার যোগাযোগ ও ডিজিটাল অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী অধ্যাপক ইসা আলী ইব্রাহিমসহ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের আইসিটি মন্ত্রী এবং সৌদি আরব ও বিশ্বের বিভিন্ন নেতৃত্বদানকারী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বৈঠকে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ ঘানা ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ‘ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের’ মহাসচিবের বৈঠক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বৈশ্বিক ডিজিটাল সহযোগিতা সংস্থা ‘ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন’ (ডিসিও) এর মহাসচিব দীমা আল ইয়াহিয়ার মধ্যে গতকাল রাতে সৌদি আরবের ‘রিয়াদ ফ্রন্ট এক্সপো অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে’ এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারা ডিজিটাল উদ্ভাবন খাতকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াসহ এ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প অর্জনে বাংলাদেশ এবং ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন এক সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন। অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে অন্যদের মধ্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. মুশফিকুর রহমান এবং ডিসিও এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের তরুণরা অত্যন্ত মেধাবী উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশই তরুণ। এই তরুণ জনগোষ্ঠীই আমাদের সম্পদ। তরুণদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। ফলে দেশে আইটি/আইটিইএস খাতে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে খুব দ্রুতই তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ববাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। পলক বলেন, নিত্য নতুন উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে নিজেদের আত্মপরিচয় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। আমরা এরইমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি। এখন চারটি স্তম্ভ নির্ধারণ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছি। এছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও খ্যাতনামা ডাটা সমাধান ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (TIQUAH) এর সিইও আয়মান আল ফালাজ এর মধ্যে সৌদি আরবের এলইএপি টেক কনফারেন্সে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের ডাটা ইঞ্জিনিয়ারিং ও সিকিউরিটি সেক্টরকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।