ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গেত সামবার দিবাগত রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের প্রায় ২০ জনের অধিক আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা। অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জরুরি সভা ডেকেছে হল প্রশাসন।
হল ছাত্রলীগের একাধিক সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শয়নের অনুসারীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের (উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহ) মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের প্রায় ২০ জনের মতো আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী ইমামুল হোসেন গুরুতর আহত হন বলে জানা যায়। অন্যদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মুর্তজা মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়।
হল সূত্রে জানা যায়, ওই হলে দীর্ঘদিন ধরে তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের সঙ্গে অন্য গ্রুপের মনোমালিন্য ছিল। সৈকত ছাড়া বাকি তিন গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংখ্যায় কম থাকায় তারা একতাবদ্ধ হয়ে সৈকতের অনুসারীদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে জড়ায়। রাতে সৈকতের অনুসারী সাব্বির অনিক নামের এক কর্মীকে ৫০০৬ নং রুম থেকে বের করে সেটিতে তালা লাগিয়ে দেয় সাদ্দামণ্ডইনান-শয়নের অনুসারীরা। পরে সৈকতের অনুসারীরা তালা ভেঙে রুমে প্রবেশ করে। পরে তিন গ্রুপের নেতাকর্মীরা এসে সৈকতের অনুসারীদের মারধর করে ওই কক্ষ থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জনের মতো আহত হয়। এই ঘটনায় ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইমের রুমও ভাঙচুর করা হয়। তার অভিযোগ, ফজলুল হক হলের দক্ষিণ ভবনে সিট সংক্রান্ত কারণে রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়। আমি আমার রুমে বিভিন্ন হলের ১০ থেকে ১২ জন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে রাতের খাবারের আয়োজন করি। খাওয়া শেষে সবাই রুমে অবস্থান করছিলাম। এমতাবস্থায় রাত দেড়টার দিকে ৮ থেকে ১০ জন অতর্কিতভাবে দেশিও অস্ত্রসহ আমার রুমে হামলা করে। হামলা করে দ্রুতই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তৎক্ষণাৎ তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলি এবং তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকতের অনুসারী।
এ বিষয়ে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ব্যাপারে তদন্ত অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সার্বিক ব্যাপারে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুম বলেন, ঘটনার ব্যাপারে আমরা অবহিত হয়েছি। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সভা থেকে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।