ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ইয়াবা পাচার রোধে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন

ইয়াবা পাচার রোধে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সংসদকে জানিয়েছেন, কক্সবাজার এলাকায় মাদক (ইয়াবা) চোরাচালান রোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে টেকনাকে একজন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে বিশেষ জোন স্থাপন করা হয়েছে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়্যারলেস টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলী। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, নৌপথে ইয়াবা পাচার বন্ধে টেকনাফে দুটি স্পিডবোটের মাধ্যমে টহল জোরদার করা হয়ছে। রাজশাহী, টেকনাফ ও সুন্দরবন অঞ্চলে বিজিবির জন্য ১২টি হাইস্পিড ইঞ্জিন বোট ও ৪টি এয়ার বোট ক্রয় করা হয়েছে। টেকনাফসহ পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ৩১৭ কিলোমিটার রোড তৈরি করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এ ঘোষণা বাস্তবায়নে সরকার অবৈধ মাদকের আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশ বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে। ২০২২ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি. কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা মিলে এক লক্ষ ৩২১টি মামলা দায়ের এবং এক লক্ষ ২৪ হাজার ৭৭৫ জন মাদক চোরাকারবারীকে আইনের আওতায় এনেছে। এ সময়ে ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৬৯ পিস ইয়াবা, এক লাখ ১৫ হাজার ৩৬৭ কেজি গাঁজা, ৭ লাখ ৬ হাজার ৬১ বোতল ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। একই প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, ২০২২ সালে জাহাজ, বেইস, বোট, স্টেশন ও আউটপোস্ট কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সর্বমোট ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯৬ পিস ইয়াবা, ১১ হাজার ৪৬৭ বোতল বিভিন্ন প্রকার মদ, ৯৮৩ লিটার দেশীয় মদ, ১২৭ দশমিক ৭ কেজি গাঁজা, ক্রিস্টাল ম্যাথ আইস ৩ দশমিক ৭ কেজি এবং ২ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫৭ শলাকা সিগারেট আটক করে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকার আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের লক্ষ্যে কোস্ট গার্ড অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয়করত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত এবং প্রয়োজনে বড় ধরনের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৪০ ধারা মোতাবেক মাদক চোরাকারবারীদের জন্য কঠোরতম সাজা নিশ্চিত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড এবং পাশাপাশি মাদক ব্যবসায় অর্থ জোগানদাতা, পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদদাতাগণ সংশ্লিষ্ট ধারায় নির্ধারিত দণ্ডের অনুরূপ দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত