ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

লাইসেন্সবিহীন সব ফার্মেসি বন্ধ হচ্ছে

প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের মধ্যে লাইসেন্সবিহীন সব ফার্মেসি বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধের সুনাম রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা পৃথিবীর ১৪৮টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করি এবং দেশের মোট চাহিদার মাত্র ২ শতাংশ আমদানি করি। সিলেটের ফার্মেসি মালিকদের উদ্দেশ্যে মেজর জেনারেল ইউসুফ বলেন, আপনারা পুরো মেডিসিন ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমেরই অংশ, দেশেও সঠিক মানে ও তাপমাত্রায় মানুষের হাতে আপনারা ওষুধ তুলে দেবেন। তিনি আরও বলেন, ফার্মেসিতে সেবা প্রদানে অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ কর্মী রাখতে হবে। ইনভয়েস ছাড়া এবং আন-রেজিস্টার্ড কোম্পানি থেকে কোনো ধরনের কেনাকাটা করবেন না। আপনাদের লাইসেন্স নবায়ন অনলাইনে করার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে মডেল ফার্মেসি ও মডেল মেডিসিন শপ বিষয়ে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ মডেল ফার্মেসি ও মডেল মেডিসিন শপের প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ডিএফআইডি-ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সোসাইটি ও ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস ফর হেল্থ-এর সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্টার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রেজাউল হাসান লোদি কায়েস ও বিসিডিএস সিলেট শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি এটিএম মোশাহিদ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিডিএস সিলেট জেলা শাখার সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী ও স্বাগত বক্তব্য দেন এমএসএইচ’র বিএইচবি প্রকল্পের প্রিন্সিপাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ডা. মো. ইফতেখার হাসান খান। বাংলাদেশের সর্বত্র সঠিক ওষুধসেবা নিশ্চিত করার জন্য মডেল ফার্মেসি থেকে কিছুটা শিথিল শর্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে মডেল মেডিসিন শপ। মডেল মেডিসিন শপের আয়তন নির্ধারণ করা হয়েছে ন্যূনতম ১২০ বর্গফুট। গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টের অপ্রতুলতার কারণে গ্রেড বি (ডিপ্লোমা) ফার্মাসিস্ট বা ন্যূনতম গ্রেড সি ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের কিছু স্বল্পমূল্যের প্রস্তুতি রাখতে হবে; যেমন, সিলিং ফ্যান ও এডজাস্ট ফ্যান। ওষুধ বিক্রয়ের সঙ্গে রোগীকে ওষুধ সেবনের পদ্ধতি বলে দেয়া এবং নিয়মিত সঠিকভাবে ওষুধ গ্রহণ করার জন্য কাউন্সিলিং করতে হবে। এর আগে মডেল ফার্মেসিতে শর্ত ছিল একজন বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট। ফার্মেসির আয়তন ছিল ন্যূনতম ৩০০ বর্গফুট ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। ওষুধ বিক্রয়ের সঙ্গে রোগীকে ওষুধ সেবনের পদ্ধতি বলে দেয়া এবং নিয়মিত সঠিকভাবে ওষুধ গ্রহণ করার জন্য কাউন্সিলিং করা।