ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে

বললেন চরমোনাই পীর
পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, জাতীয় স্বার্থ বিরোধী পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে সর্বব্যাপী গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। গতকাল রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্ব যখন ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে প্রবেশ করছে, বেকারত্ব যখন তারুণ্যকে হতাশায় নিমজ্জিত করছে, অর্থনীতি, রাজনীতি যখন অনৈতিকতার চরম খেসারত দিচ্ছে তখন দেশের পাঠ্যপুস্তকে প্রায়োগিক বিজ্ঞান, কর্মমুখী শিক্ষা ও নৈতিকতার প্রাবল্য থাকার কথা ছিলো তখন এই পাঠ্য পুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি, বিজ্ঞানের নামে ইসলামবিদ্বেষী দর্শন ও নৈতিকতা বিরোধী বিষয়বস্তু সংযোজন করা হয়েছে। চরমোনাই পীর বলেন, পাঠ্যপুস্তকের প্রধান প্রবণতা হওয়ার কথা দেশীয় ঐতিহ্য, বোধ-বিশ্বাস, সেখানে নতুন পাঠ্যপুস্তকের প্রধান প্রবণতাই হলো দেশের হাজার বছরের বোধ বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও ইসলামবিরোধী। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার একটি মাধ্যম হতে পারতো নতুন পাঠ্যক্রম, অথচ এই পাঠ্যক্রমেই উল্টো বিবাদের বীজ রোপন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরের একটি রেস্টুরেন্টে ‘২০২৩-এর মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে জনগণের বোধ-বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক উস্কানী, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, বিতর্কিত ও অবৈজ্ঞানিক মানব সৃষ্টিতত্ত্বের অনুপ্রবেশ, ট্রান্সজেন্ডার টার্ম, পৌত্তলিক ও ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃতির আধিপত্য, প্লেজারিজম এবং ধর্ম ও জাতিসত্ত্বাবিরোধী বিষয়বস্তু সংযাজনের মতো নিন্দনীয় ঘটনায় করণীয়’ সম্পর্কে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদাানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, এবি পার্টির আহ্বায়ক ও সাবেক সচিব সোলায়মান চৌধুরী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আবদুল কাদের, কল্যাণ পার্টিল ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন ফরাজী, গণআধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মাওলানা মো. ইউসুফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি মুফতি জিয়াউল হক মজুমদার, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মো. তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, অধ্যাপক ড. একেএম ইউনুস, প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম মারূফ, মুফতি জাকির হোসাইন, অধ্যাপক ড. হানিফ খান, কবি মূসা আল হাফিজ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত