আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে হামলার মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াত দেশে আবারো আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে।
তিনি বলেন, নারীদের মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন না। দেশে আফগানি অবস্থা চালু করবে।
গতকাল বিকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এ কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনে স্রোত হারিয়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন এখন গুরুতর আহত। ক্ষমতার মযুর সিংহাসন ফিরে পেতে তারা মরিয়া হয়ে পড়েছে। এত লাফালাফি করছেন। তত্ত্বাবধায়েকর দিবাস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই। বিএনপি মার্কা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ চায় না।
বক্তব্যে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দলটির সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, কোনো অবস্থাতেই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ যখন দেশে উন্নয়ন করছে, বিএনপি তখন ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। নির্বাচনে বিএনপি না এলে অস্তিত্ব বিলীন হবে। সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে। ডিসেম্বের নির্বাচন। ক্ষমতায় যেতে গেলে নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচনে লাল কার্ড দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করব। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, গত শনিবার দেশের প্রায় ২৫ জেলায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে নাশকতার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে বিএনপি। রাষ্ট্রপতি নিয়ে তাদের আগ্রহ নেই। তারা সোজা পথে আসবে না। বাঁকা পথে এলে প্রতিহত করা হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।