আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বসন্তবরণ উৎসব। এছাড়া আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিবসগুলো ঘিরে জমজমাট হবে ফুল ব্যবসা। এবার ৩০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি থেকে জানা গেছে, রাজধানীর শাহবাগ, ফার্মগেট, আগারগাঁও ফুলের বাজারে গত বছর এই দিবসগুলো নিয়ে ২৮ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। এ বছরও ৩০ কোটি টাকা বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গতকাল রোববার রাজধানীর শাহবাগে যশোরের গদখালী ইউনিয়নের ফুলচাষি রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা বেশি এবং বিক্রিও বেশি। এই এক মাসে যা বিক্রি হয়, বছরের অন্য সময় হয় না। আমরা যে দামে ফুল বিক্রি করি, তা খুচরা বাজারে তার চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়। রাজধানীর শাহবাগে সাভারের গোলাপ গ্রামের ফুলচাষি মো. বোরহানের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ফুল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিক্রি হলেও বসন্তবরণ উৎসব, বিশ্ব ভালোবাসা ও মাতৃভাষা দিবসে ফুল বিক্রি বেশি হয়। প্রতি বছর এই তিন দিবসে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে ফুল নিতে ভিড় করেন। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। এদিকে সারা দেশের খুচরা বিক্রেতারা রাজধানীর শাহবাগ, ফার্মগেট ও আগারগাঁওয়ে ফুলের পাইকারি মার্কেট থেকে ফুল কিনে থাকেন। শুক্র ও শনিবার বিক্রি অনেক বেশি হয়। প্রতিদিন শুধু রাজধানীর পাইকারি বাজারে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার ফুল কেনাবেচা হয়। আর বিশেষ দিবস যেমন- পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে ২৭ থেকে ২৮ কোটি টাকার ফুল বিক্রি বিক্রি হয়। শুধু রাজধানীর শাহবাগে ফুলের পাইকারি দোকান আছে ১০০টি এবং খুচরা বিক্রেতা আছে ১৩০। এবারের তিন দিবসে রাজধানী ঢাকায় যে ফুল বিক্রি হবে, তার সিংহভাগই হবে শাহবাগে। শাহবাগের ফুল ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি পর্যায়ে মানভেদে একটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫২ টাকায়। জারবেরা ১৫ থেকে ৪৫ টাকা, গাডিওলাস ১৪ থেকে ৫২ টাকা ও রজনীগন্ধা ৪ থেকে ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২৪০ থেকে ৩৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার গাঁদাফুল। যাত্রাবাড়ী থেকে শাহবাগে ফুল নিতে আসেন খুচরা ফুল বিক্রেতা মো. সজিব। তিনি বলেন, এবার ফুলের দাম অনেক বেশি। বিক্রেতারা ইচ্ছা করে বেশি দামে বিক্রি করছে। যে কারণে এবার আমাদের বেশি দামে ফুল কিনে বেশি দমে বিক্রি করতে হবে। এ বিষয়ে শাহবাগের অনন্যা পুষ্প বিতানের ম্যানেজার মো. সাঈদ হোসেন বলেন, তিন দিবস ঘিরে মৌসুমি বিক্রেতারাও ফুল কিনতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি ভিড় এড়াতে খুচরা ক্রেতারাও আগেভাগে দিবস উদযাপনের জন্য ফুল সংগ্রহ করছেন। সব মিলে বিক্রি জমে উঠেছে।