রাজশাহীর বাগমারার বাইগাছা এলাকায় কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে ৫০টি তালগাছ মেরে ফেলার অভিযোগে ওই উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাহরিয়ার আলমকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আদালতে দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তলব আদেশে হাজির হওয়ার পর তার বক্তব্য শুনে গতকাল বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি একেএম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় সরকারি সড়কের পাশে লাগানো অর্ধশত তালগাছ মারতে অভিনব কায়দায় কীটনাশক প্রয়োগের অভিযোগ ওঠে শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে। সেই বিষয়ে একটি রুল জারি করে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ৫০টি তালগাছ মেরে ফেলতে কীটনাশক প্রয়োগের জন্য কেন শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিতে নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। মামলার বিবাদীদের সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
‘৫০ তালগাছে কীটনাশক’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে ছাপা হওয়া সম্পাদকীয় নজরে নিয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি একেএম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এসব আদেশ দেন।
শুনানিকালে আদালত বলেন, ‘বিষয়টি খুব মর্মান্তিক। মানুষ কত নিষ্ঠুর হতে পারে!’ আদেশকালে আদালত বলেন, ‘খবরের উল্লেখিত ঘটনা আমাদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। সবুজ বনায়ন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর বৃক্ষরোপণের উদ্দেশ্যে অঙ্গীকারকে বিবেচনায় নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল দিচ্ছি।’ একইসঙ্গে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কৃষি কর্মকর্তা যৌথভাবে সরেজমিন তদন্ত করবেন। তারা উল্লেখিত গাছগুলোর ছবিসহ প্রতিবেদন আগামী সাত দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করবেন। প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাগমারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে আদালতে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।