সময় বাঁচানোর জন্য একসঙ্গে অনেক খাবার রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেন অনেকেই। এরপর প্রয়োজনের সময় বের করে খাওয়া। এতে সময় বাঁচে ঠিকই তবে ছাড় দিতে হয় কিছু ক্ষেত্রে। যেমন স্বাদ অনেকটাই কমে যায়। আবার পুষ্টিগুণও সঠিকভাবে অটুট থাকে না অনেক ক্ষেত্রে। কিছু খাবার রয়েছে যা বাসি করে খেলেই বিপদ। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু খাবার বার বার গরম করে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। কোন খাবারগুলো? চলুন জেনে নেয়া যাক-
ডিম : পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় উপরের দিকেই থাকে ডিমের নাম। কিন্তু এই খাবারই যদি বার বার গরম করে খাওয়া হয় তখন আর তা পুষ্টিকর থাকে না। ডিমে থাকে সালমোনেলা, তাই এটি একাধিকবার গরম করে খেলে নতুন ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। এই ব্যাকটেরিয়া পেটের জন্য ক্ষতিকর। ডিম দ্বিতীয়বার গরম করে খেলে এতে নাইট্রোজেন অক্সিডাইজড সৃষ্টি হয় যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডিম বার বার গরম করে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
মুরগির মাংস : মাংস রান্না করলে কে আর কম রান্না করে। সময় বাঁচাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একসঙ্গে অনেকখানি মাংস রান্না করে ফ্রিজে রেখে খাওয়া হয়। কিন্তু মুরগির মাংসের ক্ষেত্রেও এমনটা করতে যাবেন না। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুরগির মাংস বার বার গরম করে খাওয়া ক্ষতিকর। বার বার গরম করার ফলে এতে থাকা প্রোটিনের কম্পোজিশন বদলে যায়। ফলে হতে পারে বদ হজম।
পালং শাক : পুষ্টিকর পালং শাকও বাসি করে খাওয়া ক্ষতিকর। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই শাক বার বার গরম করে খেলে শরীরে কার্সিনোজেনিক এলিমেন্ট বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে বেড়ে যায়। পালংশাকে থাকা নাইট্রেট বার বার গরম করলে নাইট্রাইটস-এ রূপান্তরিত হয়ে যায়। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, রান্নার পরপরই পালং শাক খেয়ে নেয়ার।
বিট : বিটরুট বা বিটে থাকে নাইট্রিক অক্সাইড। এই যৌগ সমৃদ্ধ খাবার গরম করে খেলে প্রথমে নাইট্রাইট এবং পরে নাইট্রোসামিনে রূপান্তরিত হয়। এটি কার্সিনোজেনিক হিসেবে পরিচিত। তাই বিশেষজ্ঞরা এ জাতীয় সবজি বার বার গরম করে খেতে বারণ করেন।
মাশরুম : অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি হলো মাশরুম। কিন্তু এই খাবার বাসি করে বার বার গরম করে খেলে শরীর খারাপ হতে সময় লাগবে না। এই সবজিতে থাকে ফাইবার ও এনজাইম। এই উপাদানগুলো আমাদের হজমে সাহায্য করে। কিন্তু বার বার গরম করলে ফাইবার ও এনজাইম নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে এই খাবার বাসি করে না খাওয়াই ভালো।