সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মান বাড়াতে ব্যাপক উদ্যোগ
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলোতেও শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে আগ্রহী করতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন স্কুলকে দৃষ্টিনন্দন ও অবকাঠামোয় পরিবর্তন আনা, নেতিবাচক নাম পরিবর্তন, মিড-ডে মিল চালুর পাশাপাশি দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এরই মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন স্কুলের অবকাঠামো পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব উদ্যোগের কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
এ সময় ঢাকাসহ দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বেসরকারি বিভিন্ন স্কুলের তুলনায় শিক্ষার্থী খুব কম থাকা ও অসচ্ছল শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, সচ্ছল-অসচ্ছল বলে কোনো কথা নয়, আমরা চাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে চায়, একইভাবে সরকারি প্রাথমিক স্কুলেও যাতে সব শিক্ষার্থী ভর্তি হতে আগ্রহী হয়। এজন্য অনেকগুলো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো- ঢাকা ও আশপাশের ৩৪৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে দৃষ্টিনন্দন করার জন্য ১১শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে ১১টি স্কুল হবে পূর্বাচলে, তিনটি উত্তরায়। স্কুলের জায়গার পরিমাণ হবে দুই বিঘার বেশি। কয়েকটি জায়গা এরই মধ্যে বরাদ্দ পেয়েছি। ঢাকা শহরের যে ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে তার পুরো অবকাঠামো পরিবর্তন করা হবে। কোনোটা ভেঙে নতুন করে করা হবে, কোনোটা সংস্কার করা হবে। অর্থাৎ স্কুলের পাশ দিয়ে কেউ হেঁটে গেলে যাতে মনে হয় যে, এটা অনেক সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন একটি অবকাঠামো।
তিনি বলেন, পূর্বাচল ও উত্তরায় যে স্কুলগুলো করা হবে তা দেখে অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে সুন্দর ডিজাইন মনে হবে। ঢাকা শহরে এরই মধ্যে ৬টি স্কুলের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতি মাসে পর্যায়ক্রমে ১০-২০টা স্কুলকে মাস্টারপ্ল্যানে অন্তর্ভুক্ত করছি। কোনোটা ভেঙ্গে নতুন করে, কোনোটা দৃষ্টিনন্দন ও কোনোটা ডিজাইন পরিবর্তন করা হচ্ছে।
প্রাথমিক সচিব বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মান বাড়াতে প্রথমত অবকাঠামো পরিবর্তন, দ্বিতীয়ত স্কুলগুলোতে বাছাইকৃত শিক্ষক নেয়া হবে, তৃতীয়ত এগুলো মনিটরিং করা হবে, চতুর্থত মিড-ডে মিল দেয়া হবে, পঞ্চমত শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এতে সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলোতে পর্যায়ক্রমে সবাই ভর্তি হতে আগ্রহী হবে। পাশাপাশি নামকরণ পরিবর্তনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটাও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। যেমন বরিশাল সদরে ‘হরিজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নাম শুনে অভিভাবকদের অনেকে সন্তানদের ভর্তি করাতে চান না। তারা মনে করেন, শুধু হরিজনের সন্তানরাই সেখানে পড়বে। অথচ স্কুলটি ভালো মানের, সেখানে ভাল শিক্ষকও আছেন। সেখানকার নাম অনুসারে ‘সাগরদি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামকরণ করলে এই নেতিবাচক বিষয়টি থাকত না। তারপর বরিশাল সদরে আরেকটি বিদ্যালয়ের নামণ্ডচরকাউয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাশেই বিভিন্ন ভালো নামের স্কুল আছে। এতে ওই স্কুল সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমরা এসব স্কুলের নামকরণ পরিবর্তন করতে চাচ্ছি।
নেতিবাচক নাম পরিবর্তনে নীতিমালা জারি : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নেতিবাচক নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণে নীতিমালা জারিসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে এ ধরনের প্রায় ২০০ বিদ্যালয় চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর নাম পরিবর্তন করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে গেজেটে প্রকাশ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অনেকগুলোর নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থ সংবলিত, যা শিশুর রুচি, মনন, বোধ ও পরিশীলিতভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অন্তরায়। এ জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি এ বিষয়ে একটি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তিত নামগুলোর গেজেটে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ সময় সচিব ফরিদ আহাম্মদ এ রকম কিছু নামের কথা বলতে গিয়ে বলেন, যেমন বরিশালের একটি বিদ্যালয়ের নাম চরকাউয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের একটি বিদ্যালয়ের নাম চোরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তারা এ রকম নামে থাকা প্রায় ২০০ বিদ্যালয় চিহ্নিত করেছেন। এসব নাম পরিবর্তন করা হবে।
সারা দেশে বর্তমানে মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। নাম পরিবর্তনের বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালায় কোন কোন ক্ষেত্রে নাম পরিবর্তন করা হবে, তার কিছু কারণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত, নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক এবং শিশুমনে ও জনমনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে এমন বিবেচিত হলে নাম পরিবর্তন হবে। দ্বিতীয়ত, বিদ্যালয়ের নাম দেশের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামে থাকলে। তৃতীয়ত, নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আদালতের বিশেষ কোনো নির্দেশনা থাকলে এবং চতুর্থত ভূমিকম্প, নদীভাঙনসহ নানাবিধ কারণে বিদ্যালয়ের নামের দ্বৈততা বা জটিলতা হলে তা পরিহারের জন্য বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা যাবে।
কয়েক ধাপের কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই শেষে নাম পরিবর্তনের আবেদন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এরপর সচিবের সভাপতিত্বে গঠিত কমিটির সভায় নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব চূড়ান্ত হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ওই কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন।
জুন থেকে স্কুল-ফিডিং প্রকল্প চালু : প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, চলতি বছরের জুন থেকে স্কুল-ফিডিং প্রকল্প চালু হবে। তিনি জানান, দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১০ সালে চালু হয়ে জুন ২০২২-এ সমাপ্ত হয়। প্রকল্পটি দেশের ১০৪টি উপজেলায় চালু ছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ, বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি, নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি, ঝরে পড়া রোধ, যথাসময়ে শিক্ষাচক্র সমাপ্তকরণে প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। তাই দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে।
বৃত্তির ফল এ মাসেই : প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি মাসের ২৫ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। এতে একেকটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নেয়ার সুযোগ পায়। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের প্রতিটিতে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে হয় এই পরীক্ষা।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের মার্চের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষকের পাঠ্যক্রম বিস্তরণ সংক্রান্ত এবং বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, করোনা মহামারির দরুন বন্ধ থাকার পর মার্চের মধ্যে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষকদের বদলি শুরু আগামী সপ্তাহে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, আগামী সপ্তাহে সহকারী শিক্ষকদের অনলাইনে আন্তঃউপজেলা ও আন্তঃজেলা বদলি শুরু হবে।
এসময় প্রাথমিক সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, অনলাইন শিক্ষক বদলি নিয়ে অনেক দিন ধরে এ মন্ত্রণালয় পাইলটিং করছে। আমরা খুবই ডায়নামিক একটি সফটওয়্যার করেছি। এ সফটওয়্যারের কিছু সমস্যা ছিল। সমস্যাগুলো চিহ্নিত ও শিক্ষকদের চাহিদাগুলো বিবেচনা করে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর একটি সমন্বিত নীতিমালা জারি করেছি। এটার আলোকে প্রথম পর্যায়ে আন্তঃউপজেলা বদলি কার্যক্রম শুরু করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে ২৫ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে। বিশ্বাস করি এর মাধ্যমে ৯৮ শতাংশ শিক্ষক সন্তুষ্ট হয়েছেন।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে এ মাসেই আন্তঃজেলা, আন্তঃসিটি করপোরেশন এবং আন্তঃবিভাগ পর্যায়ে শিক্ষক বদলিতে আরও কিছু কাজ করতে হবে। সেই কাজটা করছি।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এক শিফটে চালানোর সিদ্ধান্ত একসঙ্গে নয় : দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এক পালায় (শিফট) চালানোর পরিকল্পনা আগেই নিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর যেসব বিদ্যালয়ে পর্যাপ্তসংখ্যক ব্যবহারযোগ্য শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষক রয়েছেন, সেগুলো অবিলম্বে এক পালায় চালানোর ব্যবস্থা নিতে গত মাসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশও দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় এখন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক সঙ্গে নয়, স্থানীয় চাহিদা ও বাস্তবতা বিবেচনায় এটি করা হবে।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ এ বিষয়ে তাদের অবস্থানের কথা জানান। এক পালায় বিদ্যালয় চালানোর বিষয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, এটি আমাদের লক্ষ্য। তবে সিদ্ধান্ত হবে স্থানীয় চাহিদা ও বাস্তবতা বিবেচনায়। একসঙ্গে চাপিয়ে দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। আমরা এক শিফটের বিদ্যালয় চাই। কিন্তু স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা করে নিতে হবে।
করোনায় প্রাথমিকের শিক্ষণ ক্ষতি ২৭ শতাংশ : মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে গড়ে শিক্ষণ ক্ষতি হয়েছে ২৭ শতাংশ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) এক জরিপে এ তথ?্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
করোনার কারণে প্রাথমিকে কতটুকু শিক্ষণ গ?্যাপ হয়েছে, সেটার কোনো মূল?্যায়ন আছে কি না, জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক সচিব বলেন, করোনার দুই থেকে আড়াই বছরে আমাদের শিক্ষণ গ?্যাপ হয়েছে, এটি সত?্য। এজন?্য পিইডিপি-৪ (চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির) এর একটি কম্পোনেন্টের আওতায় এনসিটিবি আনুষ্ঠানিকভাবে একটি গবেষণা করেছে। ফলাফল আমাদের সঙ্গে শেয়ারও করেছে। তারা এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে।
তিনি বলেন, ওইসময় আমরা শিক্ষণ গ?্যাপ কমাতে সিএসএসআর নামে একটি প্রকল্প নিয়েছিলাম। এটি অত?্যন্ত সফল প্রকল্প হিসেবে শেষ করেছি। মূল?্যায়নে এসেছে, এটি ৯০ শতাংশের বেশি সফল হয়েছে। এনসিটিবি শিক্ষণ ক্ষতি নিয়ে যে স্টাডি করেছে, সেখান আমরা দেখেছি শিক্ষণ ক্ষতি গড়ে ২৭ শতাংশ, বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্ষতি হয়েছে। কোনো বিষয়ে বেশি, কোনো বিষয়ে কম, গ্রামে এক রকম, শহরে আরেক রকম। এ ক্ষতিগুলো কীভাবে কাটাব, তা চিহ্নিত করেছি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, দুর্যোগকালে শিক্ষা কার্যক্রম অব?্যাহত রাখার জন?্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা করেছি। সেই কর্মপরিকল্পনার আওতায় মাস্টার ট্রেইনারদের ট্রেনিং দেয়া শুরু করা হয়েছে। তারা প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন, যাতে দুর্যোগকালে শিক্ষা কার্যক্রম অব?্যাহত রাখতে পারি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুবকর সিদ্দিক ও মো. মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।