সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্তাবিত ক্যাম্পাসের রবি প্রাঙ্গণে বসন্ত বরণ উৎসব করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে আনন্দঘন পরিবেশে রবির বাংলা বিভাগের আয়োজনে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন রবির, উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন ও ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট শহীদ হয়েছেন তাদের ত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি ঐতিহ্যের লালন করতে সক্ষম হয়েছে। বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা করার সুয়োগ পেয়েছি। নতুন ঋতুর আবাহন এবং উৎসব সংস্কৃতির একটি অংশ। এর মধ্যে বসন্ত বরণ একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী উৎসব। বসন্ত ঋতুকে সর্বশ্রেষ্ঠ ঋতু হিসেবে মনে হয়। বসন্তের যে উৎসব ও বন্দনা সেখান থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছি। এ বসন্তের অনুষ্ঠানটি পাশ্চাত্য ঢঙের এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতির উপকরণগুলো দিয়ে করছি যা ব্যথিত ও শঙ্কিত করে। ঠিক এরকম সময়েই রবির এ অভিযাত্রা শুরু হলো। পড়াশোনার ধারা ও সাংস্কৃতিক চরিত্র নিশ্চিত করে বলে দেয় রবি বাঙালি সংস্কৃতির ধারক। রবির শিক্ষার্থীরা বাঙালি সংস্কৃতির এ ধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পৌঁছে দেবে। রবির বাংলা বিভাগ সেই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছে। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতার চরণ উদ্ধৃতি দিয়ে ভিসি আরো বলেন, ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত। আজকে রবি প্রাঙ্গণ অসংখ্য মানব পুষ্পের সমাহার উজ্জীবিত ও আবেগ প্রবণ করেছে। বসন্ত সব সময়েই কিন্তু আনন্দের এবং উৎসবের পরিবর্তন সূচিত করতে পারে। এ উৎসবের আনন্দেই জড়তাকে অতিক্রম ও উদাসীনতাকে পরিহার করতে চাই এবং আনন্দ নিয়ে সামনে পথ চলতে চাই। এ সময় রবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ, রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. ফখরুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।