আইইডিবি’র সংবাদ সম্মেলন
কারিগরি পলিটেকনিক্যাল কলেজে ৭০ শতাংশ শিক্ষক পদ শূন্য
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
কারিগরি পলিটেকনিক্যাল কলেজে ৭০ শতাংশ শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক সংকটের কারণে একাডেমিক-ব্যবহারিক ক্লাসের সময় কমিয়ে পড়ানো হচ্ছে। কোনোভাবে সিলেবাস শেষ করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়া হচ্ছে। ফলে দিন দিন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মান কমছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানো বন্ধ হয়ে যাবে। কারিগরি শিক্ষার প্রতি মানুষের আগ্রহ আরো কমে যাবে।
গতকাল রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইইডিবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইইডিবির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার একেএমএ হামিদ, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামসুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের নানাভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব সমস্যা সমাধানে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। সরকারের এক শ্রেণির আমলা সেটি বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছেন। সরকার দাবি বাস্তবায়ন না করলে দেশের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীসহ টিভিইটি সেক্টর কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে রাজপথে নেমে আসলে, সে ক্ষেত্রে আইডিইবি’কে কোনোভাবেই দায়ী করা যাবে না।
এ সময় তারা চার দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি)-২০২০ ও ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ এর সংজ্ঞা ও ধারা-উপধারা সংশোধনপূর্বক গেজেট প্রকাশ করা; ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট প্রদান, পদোন্নতির কোটা ৫০ শতাংশে উন্নীতকরণ, সার্ভিস রুল অনুযায়ী পদোন্নতি প্রদান, কনসেপ্ট অনুযায়ী অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন এবং প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরতদের ন্যূনতম বেতন ও পদবি নির্ধারণ করা; ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা কোর্সকে ৪ বছরেই রাখা; পলিটেকনিক ও টিএসসিতে তীব্র শিক্ষক সংকট দূরীকরণসহ ২৯টি ইমার্জিং টেকনোলজির বেকার ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটদের পদ সৃষ্টিসহ নিয়োগের ব্যবস্থা করা। সংগঠনের নেতারা জানান, দেশের উন্নয়নে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বড় অবদান থাকলেও তাদের মর্যাদা দেয়া হচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের কাজের সুযোগ কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের নির্মাণ কোড দেয়ার ক্ষমতা বাতিল করে শুধু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের দেয়া হয়েছে। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন করে দ্রুত গেজেট প্রকাশের দাবি জানান তারা।