ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্যরকম

কালো-খোঁপার বুলবুলি

কালো-খোঁপার বুলবুলি

সাহসী এবং চঞ্চলমতি পাখি খোঁপা বুলবুলি। ইংরেজি নাম ব্ল্যাক ক্রেস্টেড বুলবুল। আবাসিক পাখি এরা। সবুজ-বনের বাসিন্দা। সমতলে ওদের দেখা যায় না। ছোট ফল কিংবা পোকামাকড় খুঁজে বেড়ায় এরা। গান সংক্ষিপ্ত, তরল এবং সুরেলা। শুধু পাহাড়ি এলাকায় এদের দেখা যায়। ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত পাওয়া যায়। কালো-খোঁপা বুলবুলি পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না। কালো-খোঁপা বুলবুলির দেহের দৈর্ঘ্য ১৭ থেকে ১৯ সেন্টিমিটার। ওজন ৩০ থেকে ৩৪ গ্রাম। এদের কালো মাথায় চমৎকার চকচকে কালো খাড়া ঝুঁটি। ঘাড়-গলাও চকচকে কালো। ডানাসহ দেহের উপরটা জলপাই-সবুজ ও নিচটা সোনালি-হলুদ। লেজ জলপাই-বাদামি। চোখ সাদাটে। ঠোঁট, পা, পায়ের পাতা ও নখ কালো। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি দেখতে প্রায় একইরকম। পুরুষ একটু কালো বেশি। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির মাথা কালচে-বাদামি ও ঝুঁটি অপেক্ষাকৃত ছোট। দেহের পালকের রং অনুজ্জ্বল ও তাতে ধূসরের প্রাধান্য। কালো-খোঁপা বুলবুলি সচরাচর দৃশ্যমান পাখি। পাখি ও বন্যপ্রাণি লেখক-গবেষকরা জানায়, মার্চণ্ডজুন প্রজননকাল। এ সময় ঘন ঝোঁপঝাড় বা চারাগাছে শুকনো পাতা, মাকড়সার জাল ইত্যাদি দিয়ে দুর্বল বাটির মতো বাসা বানায়। ডিম পাড়ে ২-৪টি। ডিমের রং সাদা, তাতে থাকে অসংখ্য লালচে-বেগুনি ফোঁটা ও দাগ-ছোপ। ডিম ফোটে ১০ থেকে ১২ দিনে। বাচ্চারা ১৫ থেকে ১৮ দিনে উড়তে শেখে। তবে এরপর বেশ কিছু দিন মা-বাবার সঙ্গে থাকে। এরা প্রায় ৮ বছর বাঁচে। উত্তেজিত হলে মাথার ঝুঁটির তিন-চারটি পালক খাড়া হয়ে যায়। জাম, পাকুড়াফলসহ অন্যান্য ছোট ফল ও কীটপতঙ্গ খায়। বসস্ত থেকে শরৎকাল পর্যন্ত বাটির মতো গোল করে বাসা বানিয়ে ডিমে তা দেয়। রেগে গেলে চোখ রাঙ্গাকীত হয়ে যায়। পুরুষ পাখি একটু বেশি কালো দেখায়। ১৭ থেকে ১৯ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। সূত্র : ইন্টারনেট।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত