সারা দেশের রাজাকারের তালিকা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরি হয়েছে। রাজাকারের তালিকার কাজ চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকার কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। তবে আগামী বছরের মার্চে তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
গতকাল দুপুরে রাজশাহীতে বাগমারা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠানে বিএনপির চলমান পদযাত্রা কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, পদযাত্রা করে সরকার পতন করা যায়, এমন কোনো নজির নেই। বিএনপির চলমান পদযাত্রা একটি অকার্যকর এবং অযৌক্তিক আন্দোলন কর্মসূচি।
তিনি আরো বলেন, এই দেশটা এককালে ভারত ছিল। আমাদের বাবা-দাদারা মুসলমানদের জন্য আলাদা একটা রাষ্ট্র পাকিস্তান বানানোর জন্য আন্দোলন করেছিল। বাঙালিদের মধ্যে নেতা ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তারই ঘনিষ্ঠ সহচর শেখ মুজিবুর রহমান। তখন তিনি ছাত্র নেতা। তাকে সঙ্গে নিয়ে সারা বাংলাদেশে ঘুরে বেড়িয়ে মুসলিম লীগের পক্ষ জনমত গঠন করেছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৪৬ সালে এই দেশে একটা ভোট হয়েছিল। ইংরেজরা এই দেশ ছাড়ার আগে একটা নির্বাচন দিয়েছিল কার কী দাবি শোনার জন্য। কংগ্রেস বলল আমরা এক ভারত চাই, ভারত ভাগ করা যাবে না। আর মুসলিম লীগ বলল না ভারতকে ভাগ করতে হবে। মুসলমানদের জন্য আলাদা আবাসভূমি চাই। আলাদা রাষ্ট্র চাই।
বঙ্গবন্ধু মুসলমানদের রাষ্ট্রের জন্য তার নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে আন্দোলন করলেন। পাকিস্তান হলো, পাকিস্তানের শতকরা ৫৬ ভাগ লোক আমরা ছিলাম। ওরা ছিল ৪৪ ভাগ। রাষ্ট্রভাষা করা হলো উর্দুকে। আমাদের ৫৬ ভাগ লোকের মায়ের ভাষার মর্যাদা তারা দেয়নি। সেজন্য একমাত্র জাতি আমরা, যারা মায়ের ভাষার সম্মান রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছি। সেজন্য এই একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বাগমারা পৌঁছে শুরুতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স ঘুরে দেখেন।
এরপর তিনি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে বাগমারা নিউ মার্কেট মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।