ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জবির ছাত্রীহলে নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ

জবির ছাত্রীহলে নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ক্যান্টিনে নিয়মিত খাবার খান ফারহানা রহমান (ছদ্মনাম)। তিনি প্রতিদিন দুপুর ও রাতের খাবার খান হল ক্যান্টিনে। এতে তার দৈনিক খরচ হয় প্রায় ১০০ টাকা। খাবারের মানের বিষয়ে জানতে চাইলে হলের এই আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘না পারতে খাওয়া। ক্যান্টিনের খাবারের মান ভালো না।’

বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীদের অভিযোগ খাবারের মানের বিষয়ে অনেকদিন ধরে সংশ্লিষ্টদের তারা জানিয়ে এলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। তবে ক্যান্টিন কমিটি বলছে এখন নিয়মিত মনিটরিং এ রাখা হয় ক্যান্টিন। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির একমাত্র ছাত্রী হলের খাবারের দামও বেশি। খাবারের দাম নিয়ে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক টুকরো ব্রয়লার মুরগি আর সবজি দিয়ে ভাত খেতে একজন ছাত্রীর খরচ হয় ৫০ টাকা, আর তালিকার কম দামি মাছ দিয়ে খেতে হলেও গুনতে হবে ৫০ টাকা। আমিষ জাতীয় খাবার খেতে একজন শিক্ষার্থীর দৈনিক দুইবেলা খাবার বাবদ ১০০ টাকা খরচ করতে হবে। অর্থাৎ খাবার বাবদ পুরো মাসে ৩ হাজার টাকা খরচ করতে হবে একজনকে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী হলে প্রায় ১২০০ জন ছাত্রী বসবাস করে। জানা যায় হল ক্যান্টিনের খাবারের মান নিম্নমানের ও দাম বেশি হওয়ায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিজেরা রান্না করে এবং বাইরে থেকে খাবার কিনে খান। এতে খরচ হলের তুলনায় কম হয়। জান্নাতুল নামের আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘কেউ যদি হলের খাবার টানা খায় তাহলে সে নিশ্চিত অসুস্থ হয়ে পড়বে। যার ফলে আমরা নিজেরা রান্না করি, আবার মাঝেমধ্যে বাইরে খাই।’

এদিকে হলের প্রতিটি তলায় গ্যাসের সংযোগ থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে সেসব চুলায় গ্যাস সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে ছাত্রীরা নিজেরা রান্না করার জন্য ইলেক্ট্রনিক রাইস কুকার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু গত সোমবার ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করার জন্য একটি নোটিশ জারি করেছে হল কর্তৃপক্ষ।

ক্যান্টিন পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা প্রতিবেলায় প্রায় ২০০-২৫০ জনের খাবার রান্না করি। ক্যাম্পাস খোলা থাকলে ৩০০ জনেরও রান্নাবান্না হয়। জিনিসপত্রের যে দাম এতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও নির্ধারিত দামে বিক্রি করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। হলের ক্যান্টিন কমিটির আহ্বায়ক ড. নিগার সুলতানা বলেন, ‘আমরা এখন নিয়মিত খাবার মনিটরিং করছি। বিষয়টি নিয়মিত মনিটরিং এ রাখতে হবে। না হয় যারা ক্যান্টিন চালায় তারা এমন তো করবেই।’ উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, খাবারের মান দেখার জন্য ক্যান্টিন কমিটি রয়েছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে। আর দামের যে বিষয়, সেটি আসলে এখন সবকিছুর দামই তো বাড়তি। তাছাড়া ভর্তুকি দেয়ার মতো বাজেটও নেই। তবে হল কমিটি রয়েছে তারা সুপারিশ করলে দেখা যাক কোনো ব্যবস্থা করা যায় কি না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত