ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হল প্রশাসনের উদাসীনতা

জবির ছাত্রী হলে অবৈধ শিক্ষার্থীদের অবস্থান

জবির ছাত্রী হলে অবৈধ শিক্ষার্থীদের অবস্থান

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে সিট প্রাপ্তদের তালিকায় না থেকেও অবৈধভাবে বসবাস করছে কিছু শিক্ষার্থী। হল প্রশাসনের উদাসীনতায় এসব শিক্ষার্থী অবৈধভাবে হলে থাকছে। বৈধ শিক্ষার্থীদের দাবি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে এসব শিক্ষার্থী অবৈধভাবে হলে উঠেছে। হল কর্তৃপক্ষ বলছে অবৈধ শিক্ষার্থীর তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক নামিয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের। কিন্তু উল্টো কথা বলছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তারা বলছে, ‘অনেক রুমেই অবৈধভাবে শিক্ষার্থীরা থাকে। হল কর্তৃপক্ষ সবসময় যাচাই করতেও আসে না।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। গত বছরের ১৭ মার্চ ১২০০ শিক্ষার্থীকে হলে সিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বছর পার হওয়ার আগেই বরাদ্দ না পেয়েও নতুন ভর্তি হওয়া একাধিক শিক্ষার্থী হলে উঠেছে। এদিকে এ হলে সিট পাওয়া শিক্ষার্থীদের ৫ হাজার ২৬৫ টাকা করে জমা দিতে হয়েছে। অথচ অবৈধভাবে থাকা শিক্ষার্থীরা এসব ফি দেয়া ছাড়াই হলে থাকছে। এর ফলে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হল প্রশাসন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ ও ১৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে হলে সিট বরাদ্দ পায়নি। চলমান মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা হল ছাড়ার পর নতুন করে সিট বরাদ্দ দেয়া হবে এসব ব্যাচের শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এ দুই ব্যাচের একাধিক শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করে এরইমধ্যে। এছাড়া হলের ৪০৭নং রুমে প্রায় ২০ জন ছাত্রী গণরুম করে অবস্থান করে। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানায়, রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে সিট বরাদ্দ না পাওয়ার পরও নেত্রীদের সঙ্গে অবৈধভাবে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে। তাছাড়া একজনের সিটে অবৈধভাবে আরেকজন থাকারও নজির রয়েছে হলটিতে। এ হলটির প্রতি রুমে আটজন করে শিক্ষার্থী থাকার নিয়ম থাকলেও বেশ কয়েকটা রুমে উপর নিচ করে আটের অধিক শিক্ষার্থী বসবাস করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে আমার রুমেও একজনকে উঠানোর চেষ্টা করেছিল এক সিনিয়র আপু। পরে আমি উঠতে না দেয়ায় এখন ওই মেয়ে অন্য রুমে থাকে। প্রভোস্ট ম্যাডাম বলেছিলেন হলে কোনো গণরুম থাকবে না কিন্তু ৪০৭নং রুমটি গণরুম হয়ে গিয়েছে। ‘হলে অবৈধভাবে থাকার যৌক্তিকতার বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, এভাবে থাকা তো ঠিক না। এ বিষয়ে প্রভোস্ট ম্যাডামের সঙ্গে আমরা কথা বলব। তবে আর এক দুইদিন কারো গেস্ট থাকতেই পারে।

এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, প্রতি তলার জন্য কমিটি করে দেয়া হয়েছে। কমিটি প্রতি তলায় চেকে যায়, কোথাও অবৈধ কোনো শিক্ষার্থী পেলে তাকে তখনই নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। মাঝেমধ্যে মেয়েরা এক রুম থেকে পালিয়ে অন্য রুমে গিয়ে লুকায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত