ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

২১ ফেব্রুয়ারির ছুটি

কক্সবাজারে এসেছে সাড়ে চার লাখ পর্যটক

শত কোটি টাকার বাণিজ্য
কক্সবাজারে এসেছে সাড়ে চার লাখ পর্যটক

দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে ২১ ফেব্রুয়ারির ছুটি উপলক্ষ্যে পর্যটকের ঢল নামে। হোটেল-মোটেলে ঠাঁই ছিল না পর্যটকদের। হোটেল ঠিক না করে বেড়াতে আসায় অনেক পর্যটক বিড়ম্বনায় পড়েন। হোটেল-মোটেল আর কটেজে জায়গা না পেয়ে হাজারো পর্যটক সৈকতের বালুচরে পায়চারি করেন কিংবা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে সময় কাটিয়েছেন।

হোটেল মালিক ও ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্তব্য, গত দুই দিনে অন্তত সাড়ে ৪ লাখ পর্যটক সৈকত ভ্রমণে এসেছেন। এ সময় ব্যবসা হয়েছে শত কোটি টাকার।

এদিকে পর্যটক সমাগমের কারণে শহরসহ সৈকতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ। জানা গেছে, শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেলের বেশির ভাগ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। সেন্টমার্টিনের সব জাহাজেরও টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। হোটেল ব্যবসায়ীরা বলেন, কক্সবাজারের প্রায় ৫০০ হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে প্রায় দেড় লাখ পর্যটকের রাত যাপনের সুবিধা রয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারির ছুটিতে কোনো রুম খালি ছিল না। কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, এই মুহূর্তে শতভাগ রুম বুকিং আছে। এটি আজ পর্যন্ত থাকবে। পর্যটকদের সেবায় আমরা সবসময় প্রস্তুত। তবে এভাবে পর্যটক বাড়বে সেটি কল্পনা করিনি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সি লাইফ গার্ডের ইনচার্জ ওসমান গণি জানান, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পা রাখারও জায়গা নেই। এ সময়টা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। কারণ লাখো পর্যটকের সমাগম হয়েছে। তবে আমাদের লোকবল মাত্র ৩৪ জন। পরিস্থিতি সামাল দেয়া আমাদের জন্য কঠিন। তবে পর্যটকরা আমাদের দিকনির্দেশনা মেনে চললে কোনো বিপদ ঘটবে না। টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা শাহিন জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রস্তুত। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে হেল্প ডেক্স বসানো হয়েছে। পর্যটকরা আমাদের অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত