ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সজীব ওয়াজেদের পোস্ট

বঙ্গবন্ধু শত বাধার মুখেও বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেন

বঙ্গবন্ধু শত বাধার মুখেও বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেন

পাকিস্তানি শাসকরা উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেয়ার পর সূচনা হয় ভাষা আন্দোলন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দেয় বাংলার দামাল ছেলেরা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ধাপে ধাপে সেই শহীদ দিবসে আসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি।

কীভাবে এই স্বীকৃতি মিলেছে, তার বর্ণনা দিয়ে সোমবার রাতে ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এটির শিরোনাম দেয়া হয়েছে, ‘২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস থেকে ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পেল যেভাবে?’

ফেইসবুক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, ‘১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ও এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে বাংলা সংস্কৃতি-শিল্প-সাহিত্যের ওপর আঘাত করে পশ্চিম পাকিস্তানি শোষকেরা। এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয় বাংলার তরুণ সমাজ, নেতৃত্বে শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবের দিকনির্দেশনায় এগিয়ে চলে ভাষা আন্দোলন, এর জন্য বারে বারে জেলে যেতে হয় তাকে। শত বাধার মুখেও বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেন শেখ মুজিবুর রহমান। এই আন্দোলনের পথ ধরেই শুরু হয় আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, আসে স্বাধীনতা।’ জয়ের কথায়, ‘আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলা ভাষাকে এনে দেন অনন্য সম্মান। সারা পৃথিবীতে সকল ভাষার মানুষের কাছে ২১ ফেব্রুয়ারি এখন একটি বিশেষ দিন।’ পোস্টে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীপুত্রের ভাষ্য, ‘যাদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি প্রাণের ভাষা, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তাদের জন্য গভীর শ্রদ্ধা।’ পোস্টে লেখার সঙ্গে ১১ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের একটি তথ্যচিত্রও প্রকাশ করেন সজীব ওয়াজেদ। যেখানে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে অনেক তথ্য তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত