ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাঙালির ভাষা আন্দোলন বিশ্বব্যাপী ভাষা সুরক্ষার অনুপ্রেরণা

ভিসি ড. মশিউর রহমান
বাঙালির ভাষা আন্দোলন বিশ্বব্যাপী ভাষা সুরক্ষার অনুপ্রেরণা

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার প্রত্যুষে ভিসির নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ভাষা সুরক্ষার মূল অনুপ্রেরণা বাঙালির ভাষা আন্দোলন। এই ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মানুষের নব শক্তির জাগরণ ঘটেছে। সেই নবশক্তির জাগরণ স্বাধীনতা এবং মুক্তির সংগ্রাম নিশ্চিত করেছে। মূলত, ভাষার সেদিনকার দাবি বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের এক অনন্য সূচনা ছিল, যার মধ্য দিয়ে আমাদের ঐক্যের সুর নিশ্চিত হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা আজও ঐক্যবদ্ধ আছি। আমাদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরও ভাষা আছে। সেটিও আমরা নিশ্চিত করতে চাই। কারণ বহুমাতৃকতার মধ্যে সমন্বয় জাতিরাষ্ট্রের অন্যতম উপাদান।’ দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘বাংলা ভাষার প্রচলন ও প্রয়োগ সর্বত্র হওয়া আবশ্যক। অন্য ভাষা আমরা শিখব। অন্য ভাষার সঙ্গে আমাদের সমন্বয়, সংযোগ ও সম্পর্ক থাকবে। কিন্তু নিজস্ব ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য সর্বাগ্রে সব ক্ষেত্রে এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যারা এটি নিশ্চিত করতে পারছেন না, আমার ধারণা-কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের অনাগ্রহ রয়েছে। অন্যভাষা ব্যবহারে ভাষার আভিজাত্য তৈরি হয় বলে কেউ কেউ মনে করছেন- এটি হচ্ছে চরম দুর্বলতা। আমি মনে করি, নিজ ভাষার যে শক্তিমত্তা, নিজ ভাষায় কথা বলা, বিনিময় করা, এমনকি দাপ্তরিক আদেশ বা নির্দেশ দেয়া এবং আদালতের রায় প্রকাশ হওয়া যেমন সাবলীল, তেমনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।’ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপাচার্যের সঙ্গে উপস্থি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানগণ। এদিকে গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্মৃতির মিনারে প্রত্যুষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করে। একুশের প্রত্যুষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাস, নগর কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোয় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত