বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ সোলার হতে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্পসমূহ হাতে নেয়া হয়েছে। বায়ু বিদ্যুৎ, বর্জ্য বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎসহ অন্যান্য নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালিয়েন্সের (আইএসএ) মধ্যে কান্ট্রি পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিপিএ) চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভার্চুয়ালি সংযোগ থেকে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সৌর প্রকল্পসমূহের দ্রুত সাফল্য পেতে প্রয়োজন প্রযুক্তি ও অর্থায়ন। নবায়ণযোগ্য ও ক্লিন জ্বালানিকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। সোলার রুফটপ বা ভাসমান সোলার প্রকল্পের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। রোডম্যাপ অনুসারে আমরা এগিয়ে যাব। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কার্বন নিঃসরণকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ ভাগ ক্লিন এনার্জি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০৩০ সাল নাগাদ সোলার হতে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্পসমূহ হাতে নেয়া হয়েছে। বায়ু বিদ্যুৎ, বর্জ্য বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎসহ অন্যান্য নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আইএসএ’র সহযোগিতায় সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো গতি পাবে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাইলট প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়েই সাফল্যের মুখ দেখবে। রুফটপ সোলারকে উৎসাহিত করতে নেট মিটারিং গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কৃষিতেও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের উদ্যোগ বাড়ানো হচ্ছে। চুক্তিতে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান এবং আইএসএ’র পক্ষে মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুর। চুক্তির আওতায় সোলার রোডম্যাপ, ইজজওকে ২ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি ট্রলি মাউন্টেড সোলার ইরিগেশন সিস্টেম, ২ কিলোওয়াট ক্ষমতার ১২টি পোর্টেবল সোলার প্যাডি থ্র্যাশার এবং ১.৫ কিলোওয়াট ক্ষমতার সোলার ড্রিংকিং ওয়াটার প্ল্যান্ট সরবরাহ, ২২ কিলোওয়াট ক্ষমতার দুইটি রুফটপ সোলার স্থাপন এবং যে কোনো একটি রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে রুফটপ সোলার প্রকল্প স্থাপন, ফ্লোটিং সোলার প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পাদন ও ফ্লোটিং সোলার প্রকল্প স্থাপনে সহায়তা। এছাড়া, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন দুটি ম্যানুয়াল সøুইচ গেটকে ফ্লোটিং সোলারের মাধ্যমে অটো সøুইচ গেটে রূপান্তর, প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধি, তথ্য বিনিময় এবং সর্বোত্তম অনুশীলনকে উৎসাহিত করা, মানসম্পন্ন সৌরপণ্যের প্রসার, প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা সুদৃঢ়করণ এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তি স্থাপনের জন্য একটি সৌর প্রযুক্তি অ্যাপ্লিকেশন রিসোর্স সেন্টার (ঝঞঅজ-ঈ) স্থাপন ও অপারেশনে সহায়তা। এছাড়া সোলার পাওয়ারড কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনও এ চুক্তির আওতায় সহায়তার ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, স্রেডার চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা, এডিবি’র ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিং প্রমুখ।