ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কদমতলীতে স্ত্রীকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

কদমতলীতে স্ত্রীকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

রাজধানীর কদমতলী জিয়া সরণি এলাকায় গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। কদমতলী জিয়া সরণি এলাকায় ফাহমিদা ফারুকী এশা (২৩) নামে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের পর বাবা ওমর ফারুক বাদী হয়ে কদমতলী থানায় স্বামী আল ইমরান সাব্বির (৩৬)সহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায় পুলিশ।

কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেয়েকে হত্যার অভিযোগ করে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের বাবা একটি মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নিহত ফাহমিদার বাবা ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে আমার জামাইসহ তার পরিবারের সদস্যরা হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

তিনি বলেন, আমার মেয়ে ফাহমিদার সঙ্গে সাব্বিরের আট বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর বিভিন্নভাবে আমার মেয়েকে তার স্বামী শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। সাব্বির পরকীয়া করত। গত ২২ তারিখে রাত ৩টার দিকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাসায় এসে আমার মেয়েকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আমার ছোট মেয়েকে ফোন দিয়ে ফাহমিদা জানায়, তার স্বামী তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে এবং ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য টাকা পাঠাতে বলে। এরপর মেয়ের জামাই আল ইমরান আমার স্ত্রীকে ফোন করে বলে দুই নাতনিকে বাসায় নিয়ে আসতে সে আমার মেয়েকে নিয়ে কলেজে পরীক্ষার জন্য যাবে। পরে আমার স্ত্রী বাসায় গিয়ে আমার নাতনিদের নিয়ে আসে। নিহত ফাহমিদার বাবা বলেন, বিকালে আমার স্ত্রী মেয়ের ফোনে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, জামাইকে কল দিলে সে রিসিভ করে না। পরে সন্দেহ হলে সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী মেয়ের বাসায় যায়। সে সাব্বিরের কাছে মেয়ের কথা জানতে চাইলে জানায় সে ঘুমাচ্ছে। কিন্তু আমার স্ত্রী দরজা খুলে দেখে আমার মেয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। আমার স্ত্রীর কল পেয়ে দ্রুত আমি ঘটনা স্থলে যাই। এরপর তাকে (সাব্বির) সেখান থেকে নামিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করে সে একটি নাটক সাজায়। ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সহযোগিতায় সাব্বির পালিয়ে যায়। মামলা হলেও আমরা পুলিশের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত