ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হৃদরোগে যা মানবেন

হৃদরোগে যা মানবেন

হৃদরোগ কেন হয়- এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো অনেকেই জানেন। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যস্ত জীবন কিংবা ছোটখাটো রোগগুলো পাত্তা না দেয়ার কারণে এ রোগ হয়। আবার আমাদের অনেক ভুল সিদ্ধান্ত ও অজ্ঞতাও হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মমাফিক জীবনযাপন করলে এ রোগ থেকে সহজেই দূরে থাকা সম্ভব। হৃদরোগ থেকে বাঁচতে যেসব নিয়ম মেনে চলবেন-

নিয়ন্ত্রণে রাখুন কোলেস্টেরল : হৃদরোগ ঠেকাতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল তৈরি হয়। দৈনন্দিনের খাবার থেকেও শরীর সামান্য পরিমাণ কোলেস্টেরল পায়। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলের যতটা প্রয়োজন, ততটা স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়ে যায়। তাই অনিয়মের হাত ধরে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হৃদরোগের অন্যতম কারণ হিসেবে এই কোলেস্টেরলও দায়ী।

ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপকে আমলে নিন : ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ বাড়লে নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ থাকে না। কখনো কারো মাথাব্যথা করে, আবার হঠাৎ মাথা টলে যেতে পারে, কখননো আবার দুর্বল লাগে, সামান্য পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট ও বুক ধড়ফড় করে। আবার নিজে থেকে তা ঠিকও হয়ে যায়। বেশিরভাগ মানুষই এই ধরনের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। কিন্তু একটানা এই সমস্যা হলে জীবনযাপনে প্রভাব পড়বে, হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এছাড়া কিডনি বিকল হতে পারে; এমনকি চোখের রেটিনাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন : ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগীরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডায়েবেটিস আক্রান্ত রোগীদের হৃদরোগ সম্পর্কে বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসে যাদের ব্লাড সুগার (রক্তে চিনির পরিমাণ) অসম্ভব পরিমাণে ওঠানামা করে, হৃদরোগের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি তাদেরই।

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ছাড়ুন : এ বিষয়ে সব চিকিৎসকই একমত যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। হৃদরোগ, ক্যান্সার (কর্কট) ডায়াবেটিসসহ আরো একাধিক রোগের সৃষ্টি হতে পারে এই বদঅভ্যাসের কারণে। বিশেষ যিনি একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তার জন্য ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য বর্জন করা অবশ্যকরণীয় হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপানের কারণে আয়ুষ্কাল কমে আসে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন : হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিৎ। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা কিংবা চিকিৎসার বিষয়ে গাফিলতি আত্মহত্যার শামিল। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এ বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করেন। অথচ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে নতুন করে হৃদরোগ মাথাচাড়া দিল কি না সেটি জানা যায় এবং পরিশেষে আরেকটি কথা, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন। সূত্র : ইন্টারনেট

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত