জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের অবস্থান
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট ও সহযোগী সংগঠনসমূহের’ ব্যানারে শুক্রবার থেকে লাগাতার এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
সারাদেশ থেকে আসা প্রায় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। উপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত রাজপথে অবস্থানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষকরা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম সিলেবাস, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা পান ২৫ শতাংশ। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনও দেয়া হয় না এবং বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই।
জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রিন্সিপাল দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুস্পষ্ট ঘোষণা ছিল, ‘শিক্ষার জন্য খরচ কোনো ব্যয় নয় বরং এটা উত্তম বিনিয়োগ।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত ও ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে ১৯৭৩ সালে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ৫০ টাকা থেকে ৭৫ টাকায় উন্নীত করেন এবং বেসরকারি কলেজের বেতন ১৫০ টাকায় উন্নীত করেন। তাছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করেন।’ তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে প্রায় ২৬ হাজার একশ’র বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। ২০১৮ সালে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতার ব্যবস্থা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণে প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও টিউশন ফি বাবদ যা আয় হয়, তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলেই ভর্তুকি ব্যাতিরেকেই জাতীয়করণ সম্ভব। অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের (বাবেশিকফো) মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি ফয়েজ আহমেদ, অনলাইন শিক্ষক পরিষদের সভাপতি শাহ আলম, জহিরুল ইসলাম, বিপ্লব দাস আব্দুল জব্বার, শেখ মো. জসীম উদ্দিন প্রমুখ।