কোনো গুণ নেই বলেই নাকি নাম হয়েছে বেগুন। এমন অনেক গল্প ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে সবখানে। কিন্তু এর কোনো ভিত্তি নেই। পুষ্টিবিদরা বলছেন, নানা রকম পুষ্টিগুণে ভরা সবজি হলো বেগুন। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের উপকার করে নানাভাবে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা ছাড়াও আরো অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে এই সবজি। আজ চলুন জেনে নেয়া যাক বেগুনের পাঁচটি গুণ সম্পর্কে- পেটের সমস্যা কমায় : বেগুনে আছে পর্যাপ্ত ফাইবার। তাই পেটের যে কোনো সমস্যা সারাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত বেগুন খেলে তা হজমে সাহায্য করে। দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য। তাই সবজি হিসেবে বেগুন রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়।
শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে : উপকারী সবজি বেগুনে প্রচুর ফাইবার থাকায় তা শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মূখ্য ভূমিকা পালন করে। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের খাবারের তালিকায় বেগুন রালে উপকার পাওয়া যাবে।
গর্ভবতীর জন্য : গর্ভবতীর জন্য ফলিক এসিড অত্যন্ত জরুরি একটি উপাদান। এটি হবু মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য উপকারী। অনাগত শিশুর বিকাশে সাহায্য করে এই উপাদান। একারণেই গর্ভবতী নারীর জন্য বেগুন হতে পারে উপকারী খাবার। কারণ বেগুনে রয়েছে পর্যাপ্ত ফলিক এসিড। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াই ভালো। হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায় : বেগুনে থাকা প্রচুর ভিটামিন বি-৬, পটাশিয়াম, ফাইবার ও ফ্লেবোনয়েড কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। সেইসঙ্গে হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে নিয়মিত বেগুন রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়।
শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে : বেগুন দিয়ে তৈরি করা যায় নানা পদ। সেসব খাবার রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়। এটি দিয়ে যে কোনো খাবার তৈরি করাও খুব সহজ। এতে থাকা পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬সহ একাধিক উপকারী উপাদান আমাদের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ঘুমের সমস্যা কমায় : ঘুমের সমস্যা হলে তা কমানোর জন্য খেতে পারেন বেগুন। কারণ এই সবজি খেলে ঘুম ভালো হয়। ঘুম ভালো না হলে কচি বেগুন পুড়িয়ে নিয়ে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। সূত্র : ইন্টারনেট।