ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘স্টোন বেবি’ কি

‘স্টোন বেবি’ কি

কলোম্বিয়ার এক বৃদ্ধা পেটের কিছু সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এক্স-রে রিপোর্ট দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার পেটে ‘স্টোন বেবি’ (পাথুরে ভ্রƒণ) ধরা পড়ে। যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষার বলা হয় ‘লিথোপেডিওন’। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে কলোম্বিয়ার ওই বৃদ্ধার পেটে পাথুরে ভ্রƒণের সম্পর্কে গণমাধ্যমে শোরগোল পড়ে যায়। প্রায় ৪০ বছর ধরে এর অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না তার। চিকিৎসকরা জানান, ওই বৃদ্ধার তলপেটের এক্স-রে করানো হলে তাতে ধরা পড়ে ‘লিথোপেডিওন’ হয়েছে তার। চিকিৎসকদের পরিভাষায় যা অতি বিরল ঘটনা। একে ‘স্টোন বেবি’ও বলেন তারা। ক্লিভল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি হসপিটালস কেস মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসক কিম গার্কসি মার্কিন গণমাধ্যম ‘এবিসি নিউজের’ কাছে গার্কসি জানান, ওই বৃদ্ধার পেটে ‘স্টোন বেবি’ ধরা পড়ার আগে সারা বিশ্বে মাত্র ৩০০ বার এমনটা দেখা গেছে। মাত্র ০.০০৫৪ শতাংশের ক্ষেত্রে গর্ভের বাইরে ভ্রƒণের জন্ম হয়ে তা পাথরে পরিণত হয় বা ‘লিথোপেডিওন’ ধরা পড়ে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গর্ভের বাইরে ভ্রƒণের জন্মের পর তা ‘লিথোপেডিওন’-এ পরিণত হওয়ার ঘটনা ১.৫ থেকে ১.৮ শতাংশের মধ্যে ধরা পড়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই ভ্রƒণের ওপর ক্যালশিয়ামের পরত জমতে থাকে। তাতেই মৃত ভ্রূণটি শক্ত হতে শুরু করে। ৬৮ বছরের এক ফরাসি নারীর দেহে ‘লিথোপেডিওন’-এর বিষয়টি প্রথম প্রকাশ পায়। ১৫৮২ সালে তার দেহের ময়নাতদন্তে জানা যায়, ২৮ বছর ধরে ‘ স্টোন বেবি’ রয়েছে তার তলপেটে। ২০০৯ সালে দক্ষিণ চীনের ৯২ বছরের এক নারীর পেট থেকে ৬০ বছরের একটি মৃত ভ্রƒণ অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে চিলির লা বোকা শহরের ৯১ বছরের এক বৃদ্ধার পেটে ‘মৃত ভ্রƒণ’ ছিল বলে জানা যায়। সূত্র : ইন্টারনেট।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত