বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সব ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে

পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর

প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন এক বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, যেখানে সব ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নিজস্ব মাতৃভাষা শিখতে, লিখতে ও পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। গত শনিবার রাঙামাটি জেলা সদরের আসামবস্তিতে মারমা সংস্কৃতি সংস্থার (মাসস) অডিটরিয়াম ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার এমপি দীপংকর তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, মারমা সংস্কৃতি সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা চিংকিউ রোয়াজা, মাসস’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, রাঙামাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমীন বক্তব্য দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে কোনো গুলি খরচ না করে বিচক্ষণতার সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্থাপনের মধ্যদিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাত বন্ধ করেছিলেন। শান্তিপূর্ণভাবে মানুষের সহাবস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি বলেন, অতীতের কোনো সরকারই পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের কথা চিন্তা করেনি। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্যবাসীর উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত করে পার্বত্য তিন জেলার উন্নয়নের ধারাকে গতিশীল রাখার জন্য সবার সহযোগিতা চান পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। মারমা সংস্কৃতি, মারমা ভাষা, মারমাদের পোশাক-আশাক, মারমাদের বর্ণমালা সংরক্ষণ ও হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যগুলোকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোক্তা মাসস’র সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী বীর বাহাদুর। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্য জেলার ১১টি সম্প্রদায়কে তুলে ধরা হয়েছে। আগের মতো এখানে বাঁশি বাজবে, গান হবে, ভাষাকে সংরক্ষণ করা হবে। পার্বত্য অঞ্চলে সমষ্টিগতভাবে কাজ করা হবে বলে মত দেন তিনি।