সুসংবাদ প্রতিদিন
চাকরির আশা ছেড়ে লাউ চাষে স্বাবলম্বী
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
পড়ালেখা শেষ করে চাকরির আশায় গিয়েছিলেন ঢাকায়। কিন্তু চাকরি না করে আবার গ্রামে ফিরে আসেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বলিদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমজাদ আলী। বাড়িতে এসেই সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। বন্ধুর পরামর্শে বাড়ির পার্শ্ববর্তী সামান্য জমিতে শুরু করেন লাউয়ের চাষ। এখন এক বিঘা জমিতে লাউ চাষ করছেন আমজাদ। একই সঙ্গে চাষ করছে অন্যান্য সবজি।
এক সময় হতাশায় ভুগতে থাকা আমজাদের সঙ্গে কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন কয়েকজন শ্রমিক। নিজে যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি শ্রমিকরাও তার জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
আমজাদ হোসেনের লিজ নেয়া এক বিঘা জমিতে লাউ চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ৫০ হাজার টাকার লাউ। ক্ষেতে আরো অন্তত ৫০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আমজাদ আলী জানান, তিনি লাউ চাষের জন্য জমিতে প্রয়োজনীয় সার, বীজ ও কীটনাশক ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে অভিজ্ঞ কৃষকের কাছ থেকে পরামর্শও গ্রহণ করেন। শ্রমিকের পাশাপাশি আমজাদ নিজেও লাউ গাছে পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত থাকেন। রাসায়নিক সারের পাশাপাশি দেশীয় সবুজ সার ও গোবর সার তার জমিতে ব্যবহার করেন।
মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী মাহিরুল ইসলাম বলেন, ‘তার এই সফলতা দেখে বারুইপাড়া ইউনিয়নের অনেক কৃষক লাউ চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। লাউ চাষ খুব লাভজনক হওয়ায় আগামীতে আরো বেশি মানুষ লাউ চাষ করবেন। লাউ বিক্রিতে কোনো অসুবিধা হয় না। বিভিন্ন হাট-বাজারে লাউয়ের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। এছাড়া জমি থেকে লাউ কিনে ব্যবসায়ীরা কুষ্টিয়া শহরে নিয়ে যায়।’
মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘পোকাণ্ডমাকড় দমনে নানা ধরনের কীটনাশক ব্যবহারে দেশে উৎপাদিত সবজি মানবদেহের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে কৃষি বিভাগ গৃহীত কৃষি প্রণোদনা প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় কৃষকদের লাউসহ অন্যান্য সবজি বিষমুক্ত উপায়ে উৎপাদনের জন্য উৎসাহিত করছি। এই উদ্যোগ মিরপুর উপজেলার কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। মিরপুর উপজেলায় প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে লাউয়ের চাষ হয়েছে।’