শিক্ষার্থীদের আনন্দ নিয়ে পড়ালেখা নিশ্চিত করতে সব ক্লাসরুম ডিজিটাল করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, নতুন কারিকুলাম এ বছর যাত্রা শুরু করেছে। আমরা ২০২৫ সাল নাগাদ নতুন কারিকুলাম পুরোপুরি চালু করব। নতুন কারিকুলামে নতুন বই শিখবে। হাতেকলমে শিখবে। আমরা চেষ্টা করছি সবক্লাস রুম ডিজিটাল করতে। যাতে শিক্ষার্থীরা আনন্দ নিয়ে শিখতে পারে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এসিআই সেন্টারে ‘কিডস ব্রেইন বিল্ডার’ ও ‘মেধাবীর সুপারনোভা’ অ্যাপের উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগের একটা সমস্যা আছে। আমরা সহজে যোগাযোগ করতে পারি না। আমাদের ভাবতে শিখতে হবে। যোগাযোগ করতে জানতে হবে। সমস্যা চিহ্নিত করতে পারা জরুরি। সব কিছু শিখতে হলে, শুধু বই মুখস্ত করলে হবে না। আমরা পুরো শিক্ষাব্যবস্থায় একটা রূপান্তর আনতে চাই, যার ফলে শিক্ষার্থীরা বুঝে বুঝে শিখবে।
দীপু মনি বলেন, ‘আজকে হাতের মুঠোয় গোটা বিশ্ব। কিন্তু গত কুড়ি বছরে এত দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, তাল মেলানো কঠিন। তাই আমাদেরও আরও এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সব পারব। পারতে হলে আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি সম্বন্ধে জানতে হবে। আমরা চাই সব বাচ্চার জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাক।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশকে গড়ে তুলতে এসিআই’র উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তারা আনন্দের সঙ্গে শেখার ব্যবস্থা করছে। অনেক দুর্গম এলাকায় শিক্ষক পাওয়া যায় না। এসব এলাকার শিক্ষার্থীরা এসব অ্যাপ দিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। আবার এতে গেমস আছে যা খেলেও শেখা যাবে। এগুলো দিয়ে ব্রেনকে আরও মজবুত করবে। মন্ত্রী অ্যাপ দুটি আনার জন্য এসিআইকে ধন্যবাদ জানান।
বক্তব্য শেষে বোতাম চেপে অ্যাপ দুটির উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে যোগ না দিলেও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ভিডিওবার্তায় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথে এগিয়ে যাচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লিটারেসির জন্য কাজ করছি। আমরা চাই বেসরকারি উদ্যোগ আসুক। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দিতে চাই।
পলক আরও বলেন, ‘আমাদের স্মার্ট নাগরিকের জন্য আজকের উদ্যোগ দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমি অনুরোধ করব শিক্ষার্থীদের, তারা যেন প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে। আর এই দুটি অ্যাপ ব্যবহার করে এগিয়ে যাবে।’ এসিআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা বলেন, ‘আমরা চাই এই অ্যাপটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমৃদ্ধ করুক। শূন্য থেকে পাঁচ এই বয়সটা খুবই জরুরি। এই বয়সে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের উন্নত করতে অ্যাপ দুটি কাজ করবে।’ অনুষ্ঠানের শেষে স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আসুন সবাই মিলে আমাদের সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করি ও আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’