বঙ্গবন্ধু দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছেন

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক। বঙ্গবন্ধুর জীবন মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনা সমার্থক। এই উন্নয়নের গতিকে আরও বেগবান ও গতিময় করতে হবে। তবেই বিশ্বের বুকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে রূপান্তর হবে। গত রোববার কলকাতার রোটারি সদন অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও অগ্রগতি নিয়ে প্রচারণা চালাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এরই অংশ হিসেবে কলকাতায় এই আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যে কৌশল আমরা নিয়েছি, যেভাবে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি, তাতে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে আমরা জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী ১৪ বছরে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন করেছেন যা দৃশ্যমান এবং সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত। সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে আমরা দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। আমরা দারিদ্র্যতা অর্ধেক কমিয়ে এনেছি অর্থাৎ ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ। অবকাঠামো, ব্রিজ, পদ্মা সেতু, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। ১০০টি ইকোনমিক জোন তৈরি করা হয়েছে সেখানে শিল্প, কলকারখানা করা হচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রসঙ্গে ড. রাজ্জাক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। জীবন বাজি রেখে আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করেছে, পরম আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে। আমরা উভয় দেশ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। যদিও অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক দিক থেকে ভারত বড় দেশ। তারপরও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। একাধিক বিষয়ে আমাদের উভয় দেশের মধ্যে সাযুজ্য রয়েছে। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস ও কলকাতা প্রেসক্লাব সভাপতি স্নেহাশিস সুর বক্তব্য দেন। প্রধান আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেক। এছাড়া, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটির সভাপতি মীর এমএম শামীমের সভাপতিত্বে বিশ্ববঙ্গ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. রাধাকান্ত সরকার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক আনোয়ারুল হক ভূঁইয়া, আন্তঃদেশীয় সমন্বয়কারী অবনী কুমার ঘোষসহ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বরেণ্য ব্যক্তিরা আলোচনায় অংশ নেন।