পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আটকে থাকা টাকা ফেরত পেয়েছেন ইভ্যালির ১৪ গ্রাহক। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জানা গেছে, এসএসএল সার্ভিসের মাধ্যমে পেমেন্ট করা ১৪টি লেনদেনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম ধাপে ১৪ গ্রাহককে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৭ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রথম ধাপে এসএসএলের মাধ্যমে কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে নগদে আটকে থাকা দেড় কোটি টাকার একটি বড় পেমেন্ট রিফান্ড করা হবে। গত ১২ তারিখ থেকে ইভ্যালি রিফান্ড কার্যক্রম শুরু করেছে। ধাপে ধাপে বিকাশ, নগদ ও এসএসএলে আটকে থাকা টাকাগুলো গ্রাহকদের রিফান্ড করা হবে। ইভ্যালির সবচেয়ে বেশি ১৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আটকে আছে নগদে। বিকাশে ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা ও এসএসএলে আছে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এছাড়া ছোট কিছু অ্যামাউন্ট আছে বিভিন্ন সার্ভিসে। তবে সেগুলোর পরিমাণ খুবই কম। এর আগে, ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে এস্ক্রো নীতিমালা কার্যকর হয়। এরপর গ্রাহক পণ্য ক্রয়ের জন্য পেমেন্ট গেটওয়েতে টাকা জমা দেয়ার পর গ্রাহক তা বুঝে পেলে সেই টাকা পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে জমা হতো। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে রাসেল এখনও কারাগারে থাকলেও জামিন পেয়ে বের হয়ে আসেন তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন। তিনি পুনরায় কোম্পানির চেয়ারম্যান পদে আসীন হন। এদিকে এক বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর চালু হয় ইভ্যালি।