ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নাগরিক সংলাপে মতিয়া চৌধুরী

বাংলাদেশের উত্তরণের জাদুকর শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের উত্তরণের জাদুকর শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, এক সময় হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে বটমলেস বাস্কেট বলেছিলেন। আজ সেই হেনরি কিসিঞ্জারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শান্তির পুরস্কার দিচ্ছেন।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত ‘এলডিসি হতে উত্তরণে বাংলাদেশের কৃষি : অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক বিএসটি নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় দেখতে পাই, দেশের প্রতিটি সেক্টরের লোকজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের সুখণ্ডদুঃখ ও অভাব-অনটনের কথা বলে। এর মাধ্যমে তারা যে তাদের বুক হালকা করে শুধু তাই নয়, তাদের সমস্যাগুলোরও প্রতিকার পায়। বাংলাদেশের যে উত্তরণ, তারই জাদুকর বা সোনারকাঠি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে খাদ্য আমদানি করতে হতো। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগে দেশের জনসংখ্যা কম ছিল এবং জমির পরিমাণ বেশি ছিল। তখন খাদ্য আমদানি করতে হতো। তখন বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছিল না। অনেক চুলচেরা হিসেবের পর আমরা এ স্বীকৃতি অর্জন করেছি। এর পেছনে অবদান আছে আমাদের কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী, জনগণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

তিনি বলেন, আমরা সাধারণত দানাদার খাদ্যের হিসাব করি। কিন্তু এই দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি দেশে শাকসবজি এবং ফলমূলের উৎপাদন আগের থেকে অনেক গুণ বেড়েছে। বাংলাদেশে ভুট্টা চাষ হবে অতীতে তা অকল্পনীয় ছিল। ষাটের দশকে ভুট্টা নিয়ে অনেক ধরনের উত্তেজনা ছিল। সে সময় আমরা ভুট্টা নিয়ে অনেক স্লোগানও দিয়েছি। আজ ভুট্টা দিয়ে তৈরি সাদা আটার যে ব্যাপক ব্যবহার, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়েই হয়েছে। মতিয়া বলেন, বাংলাদেশ তেল উৎপাদনে বাংলাদেশ খুবই পিছিয়ে আছে। তবে আমি মনে করি আমাদের জায়গা থাকলে আমরা ঠিকই পারতাম। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান লিটু।

কি-নোট উপস্থাপন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক টিএইচএম জাহাঙ্গীর। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদ সভাপতি প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব ড. মো নেয়ামুল ইসলাম প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত