ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেষ হলো একুশে বইমেলা

আরেকটি বছরের অপেক্ষায় থাকবেন প্রকাশক ও পাঠক

আরেকটি বছরের অপেক্ষায় থাকবেন প্রকাশক ও পাঠক

শেষ হয়ে গেল বাংলা একাডেমি অঙ্গনের এবারের বইমেলা। সেই সঙ্গে ভেঙে গেল সাহিত্যপ্রেমীদের মিলনমেলা। বইমেলায় প্রতিদিন না গেলে কিংবা সাহিত্য নিয়ে আড্ডা না জমলে যেন পুরো দিনটা পানসে হয়ে যেত।

পুরো মাসজুড়ে বইমেলা ঘিরে ছিল প্রকাশক ও পাঠকদের আনাগোনা। নতুন নতুন বই স্টলে তোলা নিয়ে প্রকাশকদের ব্যস্ততার কোনো কমতি ছিল না। অমর একুশে বইমেলাকে ঘিরে প্রকাশকরা তাদের নতুন নতুন বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেন। আর পাঠকও সেই সুযোগটি নেন। প্রতি বছর মেলা থেকে নতুন বই কিনে সারা বছরে পড়ার খোরাক জোগাড় করে তারা। গতকাল বইমেলা শেষ হওয়ায় সাহিত্যপ্রেমী মানুষ অনেকটা হতাশ হয়ে পড়ে। তাদের আরেকটি বছর অপেক্ষা করতে হবে। আরেকটি বইমেলার জন্য। এবার মেলার বিক্রি ও লোকসমাগম নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বেশিরভাগ প্রকাশক। করোনার কারণে গত দুই বছরের তুলনায় এবারের বেচাবিক্রি এবং জনসমাগম অনেক বেশি ছিল বলে জানান তারা। গতকাল বিকাল ৩টায় প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে থাকে বইমেলায়। বইপ্রেমীরা পছন্দের লেখকের বই কিনতে এক স্টল থেকে অন্য স্টলে ছুটতে থাকে। প্রতিটি স্টলের বিক্রয়কর্মীদের দম ফেলার ফুসরত ছিল না। বিকালে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশের প্রায় প্রতিটি স্টলে ছিল বইপ্রেমীদের ভিড়। প্রায় সবার হাতেই ছিল বইয়ের একাধিক ব্যাগ।

শেষ দিনের বেচাবিক্রিতে প্রকাশকরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলছেন, এবারের মেলা তুলনামূলক অনেক ভালো হয়েছে। শুরু থেকেই লোকসমাগম ও বেচাবিক্রি ভালো ছিল। একটি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী বলেন, এবারের মেলা নিয়ে তেমন একটা হতাশা ছিল না। সব মিলিয়ে একটি সুন্দর মেলা উপহার দিতে পেরেছে বাংলা একাডেমি।

এর আগে সংক্ষিপ্ত পরিসরে অমর একুশে বইমেলা হলেও এবারের মাসব্যাপী বইমেলায় ফিরে আসে প্রাণের স্পন্দন। পাঠক, দর্শক ও প্রকাশকদের আনাগোনায় ছিল মুখরিত। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার দেয়া হয়। রাত ৯টা পর্যন্ত চলে শেষ দিনের মেলা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত