শীত আসতেই বেড়ে যায় দাঁতের শিরশির ভাব। এমনিতেও অতিরিক্ত ঠান্ডা, গরম বা টকজাতীয় খাবার খেলে দাঁতে শিরশির ভাব হতে পারে। তবে শীত এলে এ সমস্যা আরো বেড়ে যায়। আর সহজে সারতেও চায় না। ডাক্তারি পরিভাষায় এর নাম ‘টুথ সেনসিটিভিটি’। চিকিৎসকের পরামর্শ মানলে দ্রুত এ সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। তবে নিজে সচেতন থাকতে হবে, যাতে পরবর্তীতে এ সমস্যা আর না হয়। নির্দিষ্ট কিছু টুথপেস্ট বা মাউথওয়াশ ব্যবহার করলেও এ অসুবিধা এড়ানো যায়। পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায়েও দাঁতের বিরক্তিকর শিরশির ভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
জেনে নিন করণীয় : প্রতিদিন মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে দাঁতে অনেক সময় দাগ পড়ে। যার থেকে শিরশির ভাব হতে পারে। তাই সকালে ও রাতে দাঁত ব্রাশ করার পর লবণ পানিতে ভালো করে কুলকুচি করে নিন। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে কুলকুচি করলেও দাঁতের শিরশির অনুভূতি থেকে মুক্তি মিলবে। তবে এটা রাতে শোওয়ার আগে না করলেই ভালো। গ্রিন-টি মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করলেও এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এজন্য গ্রিন-টি পানিতে ফুটিয়ে চা হালকা ঠান্ডা করে কুলকুচি করুন। মরিচে থাকে ক্যাপসাইসিন নামক একটি যৌগ। এটি যে কোনো প্রদাহ কমাতে দারুণ কার্যকর। ক্যাপসাইসিন জেল বা মাউথওয়াশ ব্যবহারেও সেরে যাবে এ সমস্যা। যদিও প্রথমে সামান্য জ্বলতে পারে, তবে কিছুক্ষণ পরই ঠিক হয়ে যাবে। তুলায় করে ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট নিয়ে মাড়িতে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর মুখ ধুয়ে নিন হালকা গরম পানিতে। কিছুদিন ব্যবহারেই ফল পাবেন। একটি রসুন পেস্ট করুন। এর মধ্যে ২-৩ ফোটা পানি ও সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন। আক্রান্ত দাঁতে সরাসরি পেস্টটি লাগান। কয়েক মিনিট এভাবে রাখুন। এরপর লবণ পানি দিয়ে মুখ কুলি করুন। দিনে দুইবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলেই দাঁতের শিরশির অনুভূতি দূর হবে। এ ছাড়াও একটি রসুনের কোয়া কেটে ৭-১০ মিনিট আক্রান্ত দাঁতে ঘষুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ২-৩বার এটি করুন। এতে শিরশির ভাব দূর হবে।