বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আইসিপি, লাকসাম-আখাউড়া রেলওয়ে প্রকল্প এবং বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। গতকাল বুধবার বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবির সরাইল রিজিয়নের আওতাধীন সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধীনস্থ আখাউড়া আইসিপি পরিদর্শন করেন। বিজিবি মহাপরিচালক আখাউড়া আইসিপিতে পৌঁছালে বিএসএফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এ সময় বিএসএফের একটি চৌকস দল বিজিবি মহাপরিচালককে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে তিনি উপস্থিত বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আখাউড়া আইসিপি পরিদর্শন শেষে বিজিবি মহাপরিচালক আখাউড়া আইসিপি বিওপি পরিদর্শন করেন এবং সৈনিকদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করেন। মধ্যাহ্নভোজের পর তিনি বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অধীনস্থ ফকিরমোড়া বিওপি পরিদর্শন করেন। এরপর বিজিবি মহাপরিচালক লাকসাম-আখাউড়া রেলওয়ে প্রকল্পের কসবা স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, এটি আমাদের জাতীয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। প্রকল্পটির দুটি স্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে হওয়ায় বিএসএফের বাধার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে এ ব্যাপারে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজিবি- বিএসএফের মধ্যেও কার্যকরী যোগাযোগ অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরই এ প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এর আগে বিজিবি মহাপরিচালক সরাইল রিজিয়ন সদর দপ্তর এবং অধীনস্থ সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি কোয়ার্টার গার্ডে সালাম গ্রহণ এবং বৃক্ষরোপণ করেন। পরে বিজিবি মহাপরিচালক সরাইল রিজিয়নের সব স্তরের বিজিবি সদস্যদের বিশেষ দরবার গ্রহণ করেন এবং অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। বিজিবি মহাপরিচালকের পরিদর্শনকালীন সরাইল রিজিয়ন কমান্ডার, বিজিবির ঊর্ধ্বতন অফিসাররা ও ব্যাটালিয়ন অধিনায়কসহ অন্যান্য অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।