কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে রাতভর নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করার ঘটনায় এরইমধ্যে সব তদন্ত শেষ হয়েছে। তদন্তে কাজ করা তিন কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। তবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত সবাইকে দোষী বানালেও শুধুমাত্র ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটিতে মূল ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার দোষ খুঁজে পায়নি। অন্যদিকে এ ঘটনাটি সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ও ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরার নির্দেশে ঘটানো হয়েছে বলে প্রায় সবগুলো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভাষ্যমতে, সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ফুলপরীকে র্যাগিং, রাতভর নির্যাতনের নির্দেশদাতা এবং নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের হুকুমদাতা। ওই অমানবিক, পাশবিক, ন্যক্করজনক, জঘন্য ঘটনাটি হালিমা আক্তার, ইশরাত জাহান মীম, তাবাসসুম ইসলাম, ময়াবিয়া জাহান করেছে বলে জানা গেছে। তাদের চোখের সামনে এক এক করে ফুলপরীকে পাশবিক কায়দায় র্যাগিং ও এই অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়। তদন্ত কমিটির সদস্যরা ১১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত। রাতভর নির্যাতন ঘটনায় সরাসরি জড়িত হালিমা আক্তার মুন্নী, ইশরাত জাহান মীম, তাবাসসুম ইসলাম ও ময়াবিয়া। তাবাসসুমের জবানবন্দিতে জানা যায় র্যাগিংয়ের দ্বিতীয় ও শেষ দিন ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে উর্মি ও মীম ভিডিও ধারণ করেন। তবে ঘটনাটি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে লাপাত্তা হয়ে যায় ফোন। প্রক্টরিয়াল বডি অনেক চেষ্টা করেও ফোনটি খুঁজে পায়নি।