বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১২০ কোটি ৯৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে।
জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২২ কেজি ১৬৩ গ্রাম স্বর্ণ, ৩ কেজি ৬৩০ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৬টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১৫ হাজার ২৩২টি ইমিটেশন গহনা, ৯ হাজার ৭৩৮টি শাড়ি, ২ হাজার ৬০৮টি থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর ও কম্বল, ৫ হাজার ৩২২টি তৈরি পোশাক, ৩ হাজার ৪০ ঘনফুট কাঠ, ৮ হাজার ১৩৬ কেজি চা পাতা, ৬৫ হাজার ৮০০ কেজি কয়লা, ৩টি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ১১৫ কেজি কারেন্ট জাল, ২৪৩ প্যাকেট কীটনাশক, ৬৬৫ কেজি গ্যামাক্সিন পাউডার, চারটি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ১৪টি পিকআপ, তিনটি প্রাইভেট কার, ১৬টি সিএনজি ও ইজিবাইক এবং ৪৭টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে চারটি পিস্তল, একটি এসএমজি, একটি রিভলভার, একটি রাইফেল, চারটি বিভিন্ন প্রকার গান, দুইটি ম্যাগাজিন এবং ৪০ রাউন্ড গুলি। এছাড়া, গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৮ লাখ ৩১ হাজার ১৪৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩ কেজি ৬৮১ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১২ কেজি ৪২৯ গ্রাম হেরোইন, ১৯ হাজার ৫৮৭ বোতল ফেনসিডিল, ১৮ হাজার ১৬৭ বোতল বিদেশি মদ, ৪ হাজার ৩১৬ ক্যান বিয়ার, ২ হাজার ২৭১ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৪৩ হাজার ২২৩ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ২৪ হাজার ৮১৩টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৬ হাজার ১৬৫টি ইস্কাফ সিরাপ, ২ হাজার ৫১৯ বোতল এমকেডিল ও কফিডিল, ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭১ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ১ হাজার ৭১০টি অ্যানেগ্রা ও সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ২৭ হাজার ৫২৯টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
এছাড়া, অভিযান চালিয়ে ২৬০ একর জমিতে চাষকৃত পপি ক্ষেত ধ্বংস করা হয়েছে। সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩১ জন চোরাচালানিকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৪১ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১০ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।