আমরা খুব ক্লান্ত হয়ে গেলে বা ঘুম পেলে হাই তুলি। হাই তোলা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং প্রত্যেক ব্যক্তি দিনে ৫ থেকে ১৯ বার হাই তোলে। কিছু গবেষণা অনুযায়ী, এমন অনেক লোক আছেন যারা দিনে প্রায় ১০০ বার হাই তোলেন। এর একটি সাধারণ কারণ একটি নির্দিষ্ট সময়ের আগে ঘুম থেকে ওঠা। কখনো কখনো অতিরিক্ত হাই তোলা কিছু গুরুতর রোগের ইঙ্গিতও দেয়। মেডিক্যাল নিউজ টুডের মতে, অত্যধিক হাই তোলা বা ঘন ঘন হাই তোলাও কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। চলুন জেনে নেই সেসব সম্পর্কে।
ঘুমের অভাব : প্রায়ই অনেকের দিনের বেলায় খুব বেশি ঘুম হয়। যার কারণে তাদের অতিরিক্ত হাই তোলার সমস্যায় পড়তে হয়। এটি সাধারণত ঘটে, যখন কোনো কারণে আপনার রাতে ভালো ঘুম হয় না। রাতে ঘুমের অভাবের কারণে, আপনি পরের দিন খুব ক্লান্ত বোধ করেন এবং আপনি আরো হাই তোলেন।
ডায়াবেটিস : হাইপোগ্লাইসেমিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। রক্তে সুগারের মাত্রা কম থাকায় হাই তোলা শুরু হয়।
সিøপ অ্যাপনিয়া : সিøপ অ্যাপনিয়া রোগীদের রাতে ঘুমানোর সময় অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। যার কারণে রাতে তার পর্যাপ্ত ঘুম হয় না, যার কারণে পরের দিন খুব ক্লান্ত লাগে এবং তিনি হাঁপাতে থাকেন। এ রোগে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। সিøপ অ্যাপনিয়ায় ঘুমোনোর সময় শ্বাস-প্রশ্বাস বারবার বন্ধ হয়ে যায় এবং নড়াচড়া করে। বিপজ্জনক বিষয় হলো এতে ঘুমের মধ্যেই শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্যক্তি এটি সম্পর্কে জানতেও পারেন না।
নারকোলেপসি : নারকোলেপসি এক ধরনের ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা। যার মধ্যে একজন ব্যক্তি যে কোনো সময় এবং যে কোনো জায়গায় হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। এ রোগে রোগী দিনের বেলা অনেক সময় ঘুম পায়, যার কারণে ব্যক্তি প্রচুর হাই তোলেন।
অনিদ্রা : অনিদ্রাও ঘুম সংক্রান্ত একটি রোগ। এই রোগে একজন ব্যক্তির রাতে ঘুম হয় না বা একবার ঘুম থেকে উঠলে ফের ঘুমোনো খুব কঠিন হয়ে পড়ে। রাতে ঘুমের অভাবের কারণে দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম পেতে শুরু করে। যার কারণে প্রচুর হাই ওঠে। হৃদরোগ : অত্যধিক হাই তোলার সঙ্গে ভ্যাগাস নার্ভের সংযোগ হতে পারে। যা মন থেকে হৃদয় ও পেটে যায়। কিছু গবেষণা অনুসারে, অতিরিক্ত হাই তোলা হার্টের চারপাশে রক্তপাত বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও নির্দেশ করে। সূত্র: ইন্টারনেট।