ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিস্ফোরণে ব্যর্থতার দায় সরকারের

বললেন মির্জা ফখরুল
চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিস্ফোরণে ব্যর্থতার দায় সরকারের

চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রোববার দুপুরে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, গত শনিবার সীতাকুণ্ডে এবং গতকাল রোববার ঢাকায় বিস্ফোরণ হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন এই বিস্ফোরণগুলো ঘটছে কেন? সব কিছু সঠিকভাবে আছে কি না, অর্থাৎ সেখানে যেন বিস্ফোরণ না ঘটে, কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। দুর্ঘটনা ঘটলে যেন মানুষের জীবন নাশ না হয়- সেই ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না? সরকারি সংস্থাগুলো সেই ব্যবস্থা নিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এবং সরকারের ব্যর্থতার কারণে এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সংকট সরকারের সৃষ্টি : মির্জা ফখরুল বলেন, পঞ্চগড়েও শনিবার চরম একটা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দুইজন নিহত হয়েছেন, দোকানপাটসহ বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন যে, এই ধরনের একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরকার চুপ করে থাকল কেন? সেখানে সমাবেশ করার অনুমতিই বা দেয়া হলো কেন বা পরবর্তীকালে যখন আক্রমণ হয়েছে তখন পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেটা দেখল কেন, সেটাকে তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হলো না কেন? এই যে সাম্প্রদায়িক সমস্যা সৃষ্টি করা, বিভেদ সৃষ্টি করা-এটা সরকার সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখন গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছে, অধিকার আদায়ের জন্য যখন সংগ্রাম শুরু করেছে, শুধুমাত্র জনমনে বিভ্রান্তি ও অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়।

এই ঘটনার জন্য আমরা সরকারকে সম্পূর্ণ দায়ী করছি। তাদেরই জবাবদিহি করতে হবে এবং যারা দায়ী এই ঘটনার জন্য তাদের বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক হয়। এই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছিলেন।

গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, নুরে আলম ও শাহজালাল মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।

গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন আল রশীদ খান বলেন, আমরা এখানে এসেছি বিএনপির সাথে আলোচনা করতে, এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে অবস্থান করে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত