বহুমুখী পাটপণ্যই হবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস

বললেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বহুমুখী পাটপণ্যের প্রসার বাড়াতে আরো বেশি হারে দেশে ও বিদেশে পাটপণ্যের প্রদর্শনী করার নির্দেশ দিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বীরপ্রতীক গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, সেই দিন আর বেশি দূরে নয় বহুমুখী পাটপণ্যই হবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস। গত রোববার রাজধানীর মতিঝিলে করিম চেম্বারে বহুমুখী বিক্রয় ও প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জেডেপিসির আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সেলিনা আক্তার, পাটকল করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহমুদ হোসেনেসহ অন্যরা।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। মেলায় ২৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তারা বহুমুখী পাটপণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তারা ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন। প্রদর্শনী পাটের প্রায় সব পণ্য রয়েছে। আগামী এক মাস এই ২৮ উদ্যোক্তার পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি হবে। এরপর অন্য ২৮ উদ্যোক্তার পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। এভাবে বছরব্যাপী এখানে বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রি করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জেডিপিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, পাটপণ্যের মেলার আরো আয়োজন করতে হবে। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি এ খাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রপ্তানি করতে উৎসাহী হবে।

মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এখন আমাদের আরো উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে আমরা ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। সরকার উদ্যোক্তা তৈরি করতে আগ্রহী। কারণ উদ্যোক্তা ছাড়া দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং সোনালি আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এরই মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে, পাটপণ্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে। সে লক্ষ্যে পাটখাতের অংশীজনসহ বছরব্যাপী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ও পাটসমৃদ্ধ ফরিদপুর জেলায় পাট ও পাটজাতপণ্য প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

এছাড়া, আগামী ১২ থেকে ১৬ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শনী ও মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।