সায়েন্স ল্যাবে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ

বললেন ফায়ার সার্ভিস ডিজি

প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাথমিক তদন্তে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকার ওই বাণিজ্যিক ভবনে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। তিনি বলেছেন, সেখানে এখন পর্যন্ত নাশকতার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। এটি একটি ম্যাসিভ দুর্ঘটনা। তবে আর অন্য কোনো কারণে ঘটেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর মিরপুর ‘ডিওএইচএস’ এলাকায় পল্লবী ফায়ার স্টেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, দুর্ঘটনা নাকি অন্য কারণে সায়েন্স ল্যাবের ঘটনা, তা জানতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছিলাম। তারা বোম ডিসপোজাল টিম এসে সেখানে কাজ করেছে। এরপর তারা জানিয়েছে, সেখানে নাশকতা বা বিস্ফোরকজাতীয় কিছু থেকে বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়নি। ফলে, এটা দুর্ঘটনা ছাড়া আমার মনে হয় অন্য কিছু নয়। ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা, জনবল ও দক্ষতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সারাদেশে ৫৪৩টি ফায়ার স্টেশন প্রায় প্রস্তুত করা হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে উদ্বোধন হবে। ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ৬ হাজার জনবল, আর আজকে সেটা ১৪ হাজার ৪৪৩ জন। এখন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকটি ফায়ার ফাইটার প্রশিক্ষিত। আমাদের জনবলকে আরও দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। ভলান্টিয়ারদেরও আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এছাড়া সম্প্রতি আমরা বিদেশেও সফলতার স্বাক্ষর রেখেছি। আমাদের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তুরস্কে ভূমিকম্পে হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করেছে। পুরান ঢাকার কেমিকেলের গুদাম ও কারখানা সরানোর প্রশ্নে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সরকার কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সেটার কাজ চলছে। তাছাড়া কেমিক্যাল গোডাউন করা বা কারখানা স্থাপনের জন্য পুরান ঢাকায় নতুন করে আর কোনো এনওসি বা অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। এখনো সেখানে যেগুলো আছে সেসব সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ। এ বিষয়গুলো নিয়ে অনেকগুলো কমিটি আছে। আমার বা ফায়ার সার্ভিসের কাজ হলো তদন্ত করা, মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা। আমরা সেটা যথাযথভাবে করছি।