সকালে পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

সবচেয়ে জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পেঁপে। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রায় সব দেশেরই বড় হোটেলগুলোতে সকালের খাবারের তালিকায় এক বাটি পাকা পেঁপে থাকে। আবার ফ্রুট সালাদ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় এই ফল। এই জনপ্রিয়তার কারণ শুধু এর স্বাদই নয়, এতে থাকা গুণগুলোও অন্যতম। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পেঁপেতে আছে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘কে’, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্রোটিন। সেই সঙ্গে এই ফলে আরো আছে প্রচুর ফাইবার। মিষ্টি স্বাদের এই ফলে ক্যালোরির পরিমাণও খুব কম। খেতে মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের এই ফল খেতে বাধা নেই। হজমের সমস্যা হলে পাকা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এটি পেট পরিষ্কার করতে বেশ কার্যকরী। চলুন জেনে নেয়া যাক সকালে পাকা পেঁপে খেলে কী উপকার পাবেন-

ভালো রাখে হার্ট : সকালে নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করেন তাহলে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে দ্রুত। পেঁপেতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে এতে থাকে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘ই’। সকালে উঠে খালি পেটে পেঁপে খেলে তা শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে। এতে কমে আসে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা।

চোখ ভালো রাখে : চোখ ভালো রাখতে যেসব খাবার কাজ করে তার মধ্যে একটি হলো পেঁপে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন পাকা পেঁপে খেলে তা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়। পেঁপেতে থাকা ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিন সকালে পাকা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

হজম ক্ষমতা বাড়ায় : যাদের খাবারে রুচি নেই, তারা নিয়মিত পেঁপে খেতে পারেন। এটি খাবারে রুচি ফেরানোর পাশাপাশি পেট পরিষ্কার রাখতে কাজ করে। স্বাভাবিকভাবে পেট পরিষ্কার হলে ক্ষুধা পাবেই। সেই সঙ্গে কমবে হজমের সমস্যা। এটি শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। হজমক্ষমতা ভালো থাকলে সুস্থ থাকে পুরো শরীরই। ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায় : পেঁপেতে কোনো ক্যালোরি নেই, কেবল ফাইবার রয়েছে। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে, তারা প্রতিদিন সকালে এক বাটি পাকা পেঁপে খেলে উপকার পাবেন দ্রুতই। শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলে অন্য রোগের আশঙ্কাও কমে আসে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি দূরে রাখে : নিয়মিত পেঁপে খেলে কমে ক্যান্সারের ঝুঁকি। কারণ, এই ফলে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন, ক্রিপ্টোক্সান্থিন। ক্যারোটিন ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে। সূত্র : ইন্টারনেট।