ঢাকা ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাবিতে নারী দিবসের সেমিনার অনুষ্ঠিত

ঢাবিতে নারী দিবসের সেমিনার অনুষ্ঠিত

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের উদ্যোগে ‘নারী-পুরুষের সমতা আনয়নে ডিজিটাল উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি’ শীর্ষক এক সেমিনার গত মঙ্গলবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি বিশেষ অতিথি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকোলস্ সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য দেশের নারী সমাজের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ব্যাপক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায় থেকে নারীদের তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। নারী-পুরুষ বৈষম্য নিরসন এবং নারীদের জন্য সমাজে অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপের ফলেই নারীরা আজ সমাজের নানা ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। লিঙ্গ বৈষম্য নিরসন এবং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সামাজিক আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গৃহস্থালিসহ নারীর সব কাজের স্বীকৃতি প্রদান এখন সময়ের দাবি। ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমাজের সব ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য লিঙ্গ বৈষম্য নিরসন করা জরুরি। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকোলস নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এবং কানাডা একযোগে কাজ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত