ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আজ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস

আজ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস

আজ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়, দুর্যোগ প্রস্তুতি সবসময়’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সঠিক সময়ে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা গেলে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। আবদুল হামিদ বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছরই বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়ে থাকে। প্রায় সারা বছরই বাংলাদেশকে কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সঠিক সময়ে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা গেলে এসব দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। তিনি জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাণ্ডপরবর্তী সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের নীতি-পরিকল্পনায় এরই মধ্যে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কৌশল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সব ধরনের দুর্যোগের প্রস্তুতিতে সরকার বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার দুর্যোগ প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে গ্রামীণ রাস্তায় সেতু/কালভার্ট নির্মাণ, গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ডকরণ, মুজিবকিল্লা নির্মাণ, উপকূলীয় এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নির্মাণ, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগকালে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ফলে দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘আমাদের সক্ষমতা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে’ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সমর্থ হব। তিনি আজ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় দেশব্যাপী ১০ মার্চ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়, দুর্যোগ প্রস্তুতি সবসময়’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে দেশের ঘূর্ণিঝড়প্রবণ উপকূলীয় এলকায় বহুমুখী ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙন এলাকায় টেকসই ও আধুনিক বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও মেরামত এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ক্রমবর্ধমান হারে গৃহীত প্রকল্প, গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মি. দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগ উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, বজ্রপাত নিরোধক কর্মসূচি, গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কর্মসূচি ইত্যাদি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)-তে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছি। ফলে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ব্যবস্থাপনায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। একারণে জেন্ডার রেসপনসিভ ক্যাটাগরিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্মানসূচক জাতিসংঘ জনসেবা পদক-২০২১ অর্জন করেছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত