বর্ণাঢ্য আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৩ উদযাপন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। গত বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত নারী নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, নারী দিবস প্রতিদিনই। পৃথিবীতে এমন কোনো কিছু নেই যেটা নারী ছাড়া হয়। নারীদের জড়তার জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের নারীদের হাত ধরে এগিয়ে দিয়েছেন একজন শেখ হাসিনা। এখন আমাদের কাজটা করে যেতে হবে। নারী যে পথে হাঁটবে, সে পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। ডিজিটাল পথেও নারীর বাধা-বিপত্তি অনেক। কিন্তু তাকে ডিজিটাল হতেই হবে। প্রযুক্তি শিখতে হবে। কারণ, এটি এমন একটা জায়গা সেখানে নারী-পুরুষ বড় বিষয় না।
প্রযুক্তির কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি নারীকে শিখতেই হবে। কারণ, এই বিশ্বটাতেও নারীকে নিজের জায়গা করে নিতে হবে। নারী-পুরুষ সবাই মানুষের বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঞ্চনাহীন, শোষণহীন একটি বাংলাদেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, সামাজিক অনুশাসনের বহু কিছু যখন ভেঙে পড়ে, তখন নারী শাসন-স্নেহ সমাজের অগ্রসরতা ও উন্নয়নের পথ দেখায়। সুতরাং, নারীর ভূমিকা যে শুধু মাতৃত্বে সেটি নয়, নারীর ভূমিকা আজ নেতৃত্বে, সৃজনশীলতায় ও দক্ষতায় সুপ্রতিষ্ঠিত।
ড. মশিউর রহমান আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন না হলে নারী মুক্তির আস্বাদন থেকে আমরা হয়তো আজও দূরে থাকতাম। সেকারণে বাঙালির গেরিলা যোদ্ধারা আজো অর্থনৈতিক মুক্তির গেরিলা সংগ্রামী। যেখানেই জঙ্গিবাদ, যেখানে নারী নির্যাতন, যেখানে অশুভ কিছু, তার বিরুদ্ধে সুন্দরের সব শক্তি দিয়ে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। নারী দিবসের আয়োজনে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নাসিমা বানু, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবা নাসরিন, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, অভিনেত্রী তারিন জাহানসহ দেশের বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত নারী নেত্রীরা। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, দপ্তর প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। রাতে নারী জাগরণের গান পরিবেশন করে মোমবাতি প্রজ্ব¡লন করা হয়।
