ইবি ছাত্রী নির্যাতন
ভিডিও উদ্ধারে তৎপরতা শুরু
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনের নির্যাতনের ভিডিও উদ্ধারের তৎপরতা শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভিডিওটি অভিযুক্ত হালিমা খাতুনের ফোনে ধারণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে উচ্চ আদালতের পূর্নাঙ্গ নির্দেশনাগুলো হাতে পেয়েছি। পূর্বে উচ্চ আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রেজিস্ট্রার ইবি থানায় অফিশিয়ালি লিখিত দিয়েছেন। আগামীকাল অভিযুক্ত হালিমা খাতুন উর্মীর সব তথ্য বিভাগ থেকে সংগ্রহ করবে থানা। এখন পর্যন্ত মোবাইল ফোনের উদ্ধার তৎপরতা চলমান।
এ বিষয়ে ইবি থানার ওসি আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হতে পরিপ্রেরিত একটি লিখিত পেয়েছি। চিঠিটি পাওয়া থেকে আজ অব্দি উদ্ধার কাজের তৎপরতা চলছে।
এদিকে ৪ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন ফুলপরীকে শেখ হাসিনা হল থেকে স্থানান্তরিত করে তার পছন্দ মতো বঙ্গমাতা হলের বকুল ব্লকের ৫০১ রুমে তুলে দেন।
ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার এবং ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কেনো তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, সেই মর্মে কারণ দর্শানোর আদেশ দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফুলপরী নামের নবীন এক শিক্ষার্থীকে গনরুমে ডেকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন বরাবর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন।